এতদিন পর্যন্ত সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনেে সোলার প্যানেল দেখা যেত। এবার দেখা যাবে সৌর গাছ। আর যা থেকে উৎপাদিত হবে পরিবেশ সহায়ক সৌর বিদ্যুৎ।
পরিবেশ দূষণ রোধে এবং গ্রিন সিটি গড়ার লক্ষ্যে এই ধরনের সৌরগাছ এর আগে কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেলেও শিল্প শহর দূর্গাপুরে প্রথম বসতে চলেছে এই গাছ।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পাওয়া সৌর গাছের নকশা তৈরি করেছে সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট (সিএমইআরআই)। সিএসআইআর এবং সিএমইআরআই-এর যৌথ উদ্যোগে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এই সৌরগাছ বসতে চলেছে দূর্গাপুরের সিএসআইআর এর আবাসিক কলোনিতে।
কেমন হবে এই সৌরগাছ?
এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে গিয়ে সংস্থার ডিরেক্টর তথা অধ্যাপক হরিশ হিরানি জানিয়েছে, গাছের যেমন ডালপালা থাকে তেমনই অসংখ্য সৌর প্যানেল যুক্ত হবে এই গাছ গুলি৷ এছাড়াও প্রতিদিন সূর্য ওঠা থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সব সময় তার আলো ধরে রাখা যাবে। যার প্রতিটি প্যানেল থেকে ১১. ৫ কিলোবাইট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এছাড়াও বছরে প্রায় ১২,০০০ থেকে ১৪,০০০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে এর। এই সৌরগাছটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়ে, যেখানে প্রতিটি গাছেে মোট ৩৫০ ডবলুপিপিই ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৩৫ টি সোলার পিভি প্যানেল রয়েছে।
নয়া এই প্রযুক্তির বিশদ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধ, এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস সঞ্চয়ে এই গাছের ভূমিকা অপরিহার্য। এই সৌরগাছ বায়ুমন্ডল থেকে প্রায় ১০-১২ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস সাশ্রয় করবে এবং কৃষিকাজেও এই সৌরগাছ অগ্রনী ভূমিকা নেবে।
জানা গিয়ে, প্রতিটি সৌরগাছের জন্য ৭.৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে৷ এছাড়াও পুরো এলাকা সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। যাতে এর কাজের গতিপ্রকৃতির দিকে সঠিক ভাবে লক্ষ্য রাখা যায়৷ এই সৌরগাছ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বা শক্তি মূলত কৃষিকাজেে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার ইত্যাদি যন্ত্র চালানোর কাজে ব্যবহার করা হবে৷ এছাড়াও ভবিষ্যতে ভারতের জন্য এই সৌরগাছ বিদ্যুৎতের খরচ অনেক লাঘব করে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।