চাঁদের কক্ষপথে শনিবারই ঢুকে পড়েছিল চন্দ্রযান-৩। রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল তার কক্ষপথ ক্রমশ ছোট করে চাঁদের মাটির কাছাকাছি আসা। চ্যালেঞ্জিং ওই কাজ করতে করতেই পৃথিবীতে চাঁদের ভিডিয়ো পাঠাল চন্দ্রযান-৩। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
চন্দ্রযান-৩ এর পাঠানো সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে চাঁদের রং কিছু নীলাভ সবুজ। চন্দ্রপৃষ্ঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বড় বড় গর্ত। চারদিকে অন্ধকার। শনিবারই পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের তিন ভাগের দুই ভাগ পার করেছিল চন্দ্রযান-৩। চাঁদের কক্ষপথে ঢুকেই চন্দ্রযান-৩ জানিয়েছিল, ‘চাঁদের টান অনুভব করছি।’ এবার ক্রমশ ছোট হবে চন্দ্রযান-৩ কক্ষপথ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩।
রবিবার থেকে চন্দ্রযান-৩ যেভাবে এগোবে তা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে কার হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি চলবে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত। কর্মশ প্রপালসন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ল্যান্ডিং মডিউল বিক্রম। এর মধ্যেই রয়েছে রোভার প্রজ্ঞান।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সাতটা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩ ঢুকে পড়তে পারে বলে আন্দাজ করেছিল ইসরো। সন্ধে পৌনে আটটা নাগাদ ইসরোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-৩। মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে চাঁদ থেকে চন্দ্রযান-৩ এর পৌঁছে যাওয়ার খবর আসতেও বেশ কিছুটা সময় লাগে। কক্ষপথে পৌঁছনর পর এবার সেই কক্ষপথ ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ভারতীয় মহকাশ যান। শুনতে খানিকটি সোজা মনে হলে এই কাজটি অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং।
চন্দ্রযান-৩ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ নিয়ে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, গোটা মিশনের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের ল্য়ান্ডারকে চাঁদে ল্যান্ড করাব। যেটা হয়েছে সেটা হল এই মিশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমরা ওই যানটিকে প্রবল গতি দিয়ে চাঁদকে লক্ষ্য করে ছেড়ে দিয়েছিলাম। চাঁদের পাশ দিয়ে সেটি যাওয়ার সময়ে তার গতি বদল করে সেটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। এখন যে কক্ষপথে চাঁদকে চন্দ্রযান-৩ প্রদক্ষিণ করছে তা কমিয়ে আনতে সময় লাগবে। আরও ১৮ দিন পরে ল্যান্ডিং করার কথা রয়েছে। তবে চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩ ঢুকে পড়াকে মাইল স্টোন বলা যেতে পারে।