শিরোনামে যা পড়েছেন, ঠিক সেটাই ঘটছে! কিছুতেই ঘুম ভাঙছে না চন্দ্রযানের (Chandrayaan-3)। ইসরো (ISRO) ঘুম ভাঙানোর শত চেষ্টা করেও ব্য়র্থ! গত শুক্রবার ইসরো জানিয়েছিল যে, তারা ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তবে তারা কোনও সংকেতই পায়নি। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যদিও আশা ছাড়ছে না। পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান চাঁদের একদিন। ফলে চন্দ্রদিবস শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসরো চেষ্টা চালিয়েই যাবে।
অন্ধকারের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে একরকম ঘুমিয়েই পড়েছে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার। তবে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে এবার সূর্য উঠছে। ইসরোর পক্ষ থেকে গত শুক্রবার জানানো হয়েছিল, এখন সেখানে ভোর, সূর্যের আলো পড়ছে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের গায়ে। আর যদি সেই আলো থেকে চন্দ্রযান রিচার্জড হতে পারে, তাহলে নতুন করে কাজ শুরু করবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। ভোরের ওই মৃদু সূর্যোলোকের মাধ্যমে এদের যন্ত্রপাতির ব্যাটারি চার্জড হচ্ছে কিনা, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়! ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবে, তবে এখনও কোনও যোগাযোগ করা যায়নি।
স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টারের (এসএসি) ডিরেক্টর নীলেশ এম দেশাই জানিয়েছেন যে, এখন পুণরায় বিক্রম-রোভারের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি যদি ফের রিচার্জড নাও হয়, তাহলেও কিন্তু ভারত সফল। কারণ যে মিশনের জন্য চন্দ্রযানকে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল, সেই কাজ চন্দ্রযান করে ফেলেছে।
এই প্রশ্ন উঠছে কারণ, চাঁদে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক অনেক নীচে নেমে যায়– ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি! ভয়ংকর এই শীত চন্দ্রযান-৩ সহ্য করতে পারবে কিনা তা নিয়েই ইসরো সন্দিহান। এই ঠান্ডা যন্ত্রগুলি সহ্য করতে পারলে তবে এদের থেকে পরবর্তী কর্মকাণ্ডের প্রত্যাশা করা যেতে পারে।