মঙ্গলের (Mars) পর এবার শুক্র (Venus) আভিযানের তোড়জোড় শুরু করেছে নাসা (NASA)। এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রে মোট ২টি অভিযান চালানো হবে। প্রতিটি মিশনের জন্য খরচ হবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বা ৩৫২ মিলিয়ন ইউরো।
নাসার তরফে বিল নেলসন (Bill Nelson) জানিয়েছেন, এই অভিযান এমন একটি গ্রহকে নিয়ে গবেষণার সুযোগ এনে দেবে যা গত ৩০ বছরেও পাওয়া যায়নি। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯০ সালে শুক্রের কক্ষপথে ম্যাগেলান যান (Magellan) পাঠানো হয়েছিল। এটিও পাঠিয়েছিল আমেরিকা (United States)। তবে ইউরোপ (Europe) ও জাপানের (Japan) তরফেও শুক্রের কক্ষপথে যান পাঠানো হয়। এখনও সেগুলি শুক্রের কক্ষপথে পরিক্রমা করছে। নেলসন জানিয়েছেন, এই দুই মিশনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে যে শুক্র কীভাবে নরকের মতো পৃথিবীতে পরিণত হয়েছে। এর পৃষ্ঠে গলে যাওয়া সীসা নিয়েও পরীক্ষা চালানো হবে। শুক্র সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ। আর এই গ্রহ সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। এর তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গিয়েছে এই দুটি মিশন হবে ২০২৮ ও ২০৩০ সালে। প্রথম ক্ষেত্রে শুক্রের জলবায়ু, মাটি ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা হবে। দ্বিতীয়টি প্রথমটির উপর ভিত্তি করে এগোবে। প্রথম মিশনের নাম রাখা হয়েছে দ্য ভিঞ্চি ও দ্বিতীয় মিশনের নাম রাখা হয়েছে ভেরিটাস। মূলত শুক্রের পৃষ্ঠে খনিজের সন্ধান করাই এই অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে শুক্র অভিযানে নাসাকে টক্কর দিতে পারে ইসরো (ISRO)। ইসরো ফের একটি ‘মার্স অরবিটর মিশন’ বা MOM করতে চলেছে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘মার্স অরবিটর মিশন ২’। তবে ইসরোর পাইপলাইনে রয়েছে একাধিক প্রজেক্ট। ‘মার্স অরবিটর মিশন’ বা MOM-এর সাফল্যের পর শুক্রে অভিযান চালানোর কথা ভাবছে ইসরো। এর জন্য ইতিমধ্যেই ভেনুসিয়ান নিউট্রাল অ্যানালাইজার বা VNA তৈরি শুরু হয়েছে। এটি শুক্রের পরিমণ্ডলে মহাজাগতিক রশ্মি ও সৌরকণার গতিবিধি লক্ষ্য করবে।