আজ বিজয়া। কৈলাসে ফিরে যাবেন ঊমা। আনন্দ উচ্ছ্বাসের পর বাপের বাড়িতে এখন বিষাদের সুর। সকাল থেকে মন্ডপে মন্ডপে দেবী বরণের প্রস্তুতি৷ প্রথমে ঘট বিসর্জন। এর পর সিঁদুরখেলা। তার পর গঙ্গার ঘাটে মা-কে বিদায় জানানোর পালা। কোলাকুলিতে শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ৷ ঢাকের বোলে, ‘আবার এসো মা’।
করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে এ বছর পুজোর শহরে ফের আগের মতো উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে এ বছর বাংলার পুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তি। তাকে ঘিরে প্রায় এক মাস আগে থেকেই শহরে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। ইউনেস্কো কর্তাদের সামনেই একমাস আগে পুজো শুরু বলে ঘোষণা করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তার পর থেকেই চলছিল প্রহর গোনা। বিগত দু’বছরের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এ বছর মহালয়ার দিন থেকেই শহরের বিভিন্ন প্যান্ডেলে ভিড় করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
তার পর চতুর্থী থেকে যত ভিড় এগিয়েছে ততই রাস্তাঘাটে, প্যান্ডেলে ভিড় বেড়েছে উৎসবপ্রেমী মানুষের। সেই আবহেই মঙ্গলবার, নবমীর দিন বিষাদের সুর নেমে আসে বাঙালির প্রাণের উৎসবে। কোথা দিয়ে পুজো কেটে গেল, বোঝাই যায়নি। তাই শেষবেলার আনন্দ চেটেপুটে নিতে নবমী নিশিতেও শহর কলকাতার রাস্তায় জনস্রোত নেমে আসে। করোনা-উদ্বেগকে পিছনে ফেলে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাসা ভিড়।