পর্ব ৫
গোরু বা গাভী সনাতনীগণের নিকট দেবী ভগবতীর সমান । গাভীমাতা মা কপিলা। গো পালন সুপ্রাচীন সনাতনী মানবজাতির ধর্মের সঙ্গেই জড়িত। কৃষিকেন্দ্রীক জীবন বা পশুপালনের জীবনে গোরুর কোনো বিকল্প ছিল না।গোরুর দুধ, তার গোবর, তারই মাধ্যমে মাঠ চাষ। সুতরাং , তার সেবা করা জরুরি। এখন গাঁ ঘর বদলেছে। গাঁ ঘরের ৯৫% বাড়িতে আর গোরু নেই। আগে তাও দুধ আসত ঘোষের ঘাটাল থেকে , এখন তো প্যাকেটের দুধেই কাজ চলে গৃহস্থ ঘরে। ক্যানে করে দুধ আর কজন বেচে ? ফলে গোবরেরও প্রয়োজন পড়ে না। গোবর থেকে যে জ্বালানী #ঘষি তৈরী হতো, উঠান নিকানো হতো, শ্রাবণের সংক্রান্তিতে জীবাণু নাশক গোবরের বেড় দেওয়া হতো বাড়ির চারিদিকে। প্রতিদিন সকালে বাড়ির বাইরের দরজায় দেওয়া হতো #গোবর_মারুলি। সেসব এখন আর কেউ কি মানে?
পঞ্চগব্যের অপরিহার্যতা আছে আমাদের ধর্মীয় এবং কৃষি জীবনে । সংস্কৃত শব্দ এই পঞ্চগব্যের অর্থ “গাভীজাত পাঁচটি উপাদানের মিশ্রণ”। এটি প্রস্তুত করা হয় গরু থেকে সরাসরি প্রাপ্ত তিনটি উপাদান, যথা গোবর গোমূত্র ও দুধ এবং তা থেকে উপজাত দুইটি উপাদান, যথা দই ও ঘিয়ের সঠিক মাত্রায় মিশ্রণ ও পচনের মাধ্যমে। পরম্পরাগত ভাবে বৈদিক যুগ থেকে পঞ্চগব্য ধর্মীয় ও কৃষি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। পঞ্চগব্য এমন একটি জৈব পণ্য উপকরণ যা ফসলের বৃদ্ধি সহায়ক হিসেবে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং জৈব চাষিদের কাছে খুব জনপ্রিয়ও।
মূলত নয়টি উপকরণ যথা – গোবর গোমূত্র দুধ,দই, ঝলা গুড় ,ঘি, কলা, ডাবের জল ও গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চগব্য প্রস্তুত করা যায়। এই উপকরণগুলিকে যথাযথ পরিমাণে ও পরিমাপে মিশ্রিত করে ব্যবহার করলে বিস্ময়কর ফল পাওয়া যায়। সাত কেজি গোবরের সাথে এক কেজি গোরুর দুধের ঘি মিশিয়ে সকাল ও সন্ধেবেলা ভালোভাবে নাড়িয়ে তিন দিন রেখে দিতে হবে। তিন দিন পড়ে এর সাথে ১০ লিটার গোমূত্র ও ১০ লিটার জল যোগ করে ১৫ দিন রেখে দিতে হবে। এই ১৫ দিন ধরে নিয়মিত সকাল ও সন্ধেবেলা ভালোভাবে মেশাতে হবে। ১৫ দিন পড়ে মিশ্রণের সাথে তিন লিটার গোরুর দুধ,দু লিটার দই,তিন লিটার কচি ডাবের জল, ও তিন কেজি ঝলা গুর ও ১২ টি সুপরিপক্ক কলা মিশিয়ে ৩০ দিন রেখে দিলেই পঞ্চগব্য প্রস্তুত। উপরিলিখিত উপকরণগুলিকে কোনও প্রশস্ত উন্মুক্ত মাটির পাত্রে বা সিমেন্টের চৌবাচ্চায় বা প্লাস্টিকের পাত্রে মেশানো যেতে পারে। যে পাত্রই হোক সেটিকে মুখখোলা অবস্থায় ছায়া যুক্ত স্থানে রাখতে হবে। মিশ্রণটিকে দিনে দুবার সকাল ও সন্ধেবেলা ভালোভাবে ঝাঁকাতে হবে। এইভাবে ৩০ দিন পর পঞ্চগব্য নামক উৎকৃষ্ট তরল জৈব সার এর জন্য প্রস্তুত করা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে মোষ থেকে উপজাত কোনও দ্রব্য যেন না যোগ করা হয়। তাছাড়া এক্ষেত্রে দেশী গরু থেকে প্রাপ্ত উপাদানের উৎকর্ষ, বিদেশী গোরুর থেকে বেশি হয়ে থাকে। উন্মুক্ত পাত্রে রেখে দেওয়ার সময় তারজালির চাদর বা প্লাস্টিকের মশারি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে মিশ্রণে মাছি ডিম না পড়ে এবং শূককীট না জন্মায়। ঝলা গুড়ের পরিবর্তে আখের রসও ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে , সেসব গ্রামও আর নেই। প্রত্যেক গ্রামই এখন সহজে শহরে পৌঁছয়। সবার হাতে মোবাইল ইত্যাদি। বর্তমান প্রজন্ম সেই সব জাগতিক বস্তুতেই মেতে থাকে। ফলে, সংস্কার লালিত ঘষি, গোবর , গোয়াল , গোরুর সঙ্গে সঙ্গে ” গো – মঙ্গল বা কপিলামঙ্গল” গানও ক্রমশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। গোরুর পট দেখিয়ে আর পটুয়াদের কেউই নীতি কথা শোনাতে আসে না গৃহস্থের বাড়িতে। সমগ্র রাঢ়বঙ্গে কিছু মাত্র পটুয়া চিত্রকর ” গোরুর পট ” দেখিয়ে গান করে জীবনযাপন করেন। তাঁদের নাম আমি পূর্ব পর্বে করেছি।
গোরু সেই ঐতিহাসিক কাল হতে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান জীব। তাই, প্রাচীন কাল হতে গো বিনিময় প্রথার মাধ্যমে দ্রব্য কেনাবেচা হতো। মূল্যবান অত্যন্ত , তাই গো সম্পদ এবং কৃষি সম্পদকেই প্রকৃত সম্পদ বলে মনে করা হতো। গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি এবং গো ও অশ্ব সম্পদ বেদে গুরুত্বময় রূপে স্বীকৃত।
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে …
সেই সুপ্রাচীন কালে , সেই অতি প্রাচীন ত্রিকালজ্ঞ বৈদিক ঋষিগণ তাই কৃষিবল , বৃক বা সীর এবং গো কে প্রকৃত শক্তি এবং সম্পদ বলে উল্লেখ করে উক্ত সকল কিছুর জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন কৃষির অধিষ্ঠাত্র দেব ক্ষেত্রপতির নিকট। ধেনুর পুষ্টিকর দুগ্ধের ন্যায় পুষ্টিকর জলের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
ক্ষেত্রস্য পতিনা বয়ং হিতেনে জয়ামসি।
গামশ্বং পোষয়িত্ব স নো মৃলতীদৃশে।।
ক্ষেত্রস্য পতে মধুমন্তমূমিং ধেনুরিব পয়ো অস্মাসু ধুক্ষব।
মধুশ্চুতং ঘৃতমিব সুপূতমৃতস্য নঃ পতয়ো মৃলয়ন্তু।।
ঋগ্বেদে গো হল রয়ি বা সম্পদ। গোমৎ শব্দটি ধনী ব্যক্তির সমার্থক ,অর্থাৎ যিনি গোসম্পদের অধিকারী।দুহিতৃ অর্থ কেবলমাত্র কন্যাকেই বোঝাত না। দুহিতৃ ,অর্থাৎ যিনি গাভী দোহন করেন। তাই উক্ত শব্দটিও গোসম্পদ ব্যঞ্জনা মূলক।
শ্রী কৃষ্ণ গোপাল , যাদব বংশের প্রধান সম্পদ গোরু ছিল। মূল্যবান সম্পদ হিসাবে তাই দুর্যোধন বিরাট রাজার গাভী অপহরণ করেছিল। কেবলমাত্র কামধেনুকে কেন্দ্র করে মহর্ষি বশিষ্ঠ এবং ক্ষত্রিয় বিশ্বামিত্রের মধ্যে প্রবল যুদ্ধ হয়েছিল। কোনো কিছুর বিনিময় স্বর্গীয় গাভী কামধেনুকে ঋষি বশিষ্ঠ ত্যাগ করতে চাননি।
বহুনা কিং প্রলাপেন ন দাস্যে কামদোহিনীম।
সেই যুদ্ধে হেরেই বিশ্বামিত্র সাধন পথে এগিয়েছিলেন। তিনি হয়েছিলেন ব্রহ্মর্ষি।
ঋষি জমদগ্নির হোমধেনু অপহরণ করার নিমিত্ত পরশুরাম হৈহয়রাজ কার্তবীর্যকে হত্যা করেন। এরপর কার্তবীর্যের পুত্ররা জমদগ্নির আশ্রম আক্রমণ করে , ঋষিকে হত্যা করলে , রুষ্ট ,ক্রুদ্ধ পরশুরাম তাঁদের হত্যা করেন। এরপর পরশুরাম একুশবার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করেন।
অর্থাৎ , রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু চরাব আজ বাজিয়ে বেণু,
মাখব গায়ে ফুলের রেণু চাঁপার বনে লুটি …এমন রোম্যান্টিসিজম যেমন কেবল গাভীকে কেন্দ্র করে ছিল , গাভীকে কেন্দ্র করে ছিল অর্থনীতি , তেমন গাভীর জন্য অনেক ইতিহাস বদলে ছিল।
ঋগ্বেদে তাই বলা হয়েছে –
গোমাঁঁ অগ্নেহ বিমাঁঁ অশ্বী যজ্ঞো নৃবৎসখা সদমিদপ্রমৃষ্যঃ।
ইল.বাঁ এষো অসুর প্রজাবান্ দীর্ঘ রয়ি পৃথবুধ্ন সভাবান্।।
হে অগ্নি , হে ভয়াল , আমাদের এ যজ্ঞ গো ,মেষ ও অশ্ব বিশিষ্ট হোক। যে যজ্ঞে যজমানেরা অধ্বুর্য প্রভৃতি ঋত্বিক বিশিষ্ট , সে যজ্ঞ সর্বদা অপ্রধৃষ্য হব্যবিশিষ্ট প্রজাবান হোক এবং অবিচ্ছিন্ন ধনসম্পদ , বিস্তীর্ণ মূলবিশিষ্ট এবং সভাযুক্ত হোক।
গোচারনের জন্য সুপ্রাচীন কাল হতে পৃথক ভূমি সংরক্ষিত হতো। ঋগ্বেদে উল্লেখ আছে –
প্র বাহবা সিসৃতং জীবসে ন আ নো গব্যূতিমুক্ষতং ঘৃতেন।
আ নো জনে শ্রবয়তং যুবানা শ্রুতং মে মিত্রাবরুণা হবেমা।
হে মিত্র বরুণ ,বাহু প্রসারিত করো। আমাদের জীবনার্থে আমাদের গোচারণস্থান জলসিঞ্চিত করো। মনুষ্যসমূহের মধ্যে আমাদের বিখ্যাত কর। তোমরা নিত্য তরুণ ! আমাদের এই আবাহন শোনো।
অথর্ব বেদে বসুন্ধরার নিকট প্রার্থনা করে বলা হয়েছে –
যস্যাং পূর্বে পূর্বজনা বিচক্রিরে সম্যাং দেব অসুরানভ্যবর্তয়ন্।
গবামশ্বানাং বয়সশ্চ বিষ্ঠা ভগং বর্চ পৃথিবী নো দধাতু।।
আমাদের পূর্বজনেরা , যাঁরা আমাদের উৎপীড়িত করত সেই অত্যাচারী অমঙ্গল শক্তি দমন করে অসীম শৌর্য দেখিয়েছিলেন। গো, অশ্বের মতো গৃহপালিত পশুরা এবং আমাদের উপকারী বিহঙ্গকুল এই ধরিত্রীতে আশ্রিত । হে ধরিত্রী , হে বসুন্ধরা আমাদের সকলকে শক্তি ও সমৃদ্ধি দাও।
খনার বচনে আছে –
ন – ঘর ছ – ঘর ভাগ্যে পাই।
সাতুল দেখে দূরে পালাই।।
গোরু চিন বা না চিন।
ধলা খুঁচি দেখে কিন।।
সাতুল – সাত , খুঁচি – পালান
উত্তম গোরুর লক্ষণ এখানে বর্ণিত হয়েছে।
গো সেবা তাই সনাতনী জীবনে ছিল এক অত্যন্ত পবিত্র কর্ম। গাভীমাতা সন্তুষ্ট ও সুখী হলে দেবী ভগবতী ব্রহ্মময়ী মা দুর্গা গৃহলক্ষ্মী মা অন্নপূর্ণা গৃহস্থের প্রতি সদয় থাকেন। গো সেবা জীব সেবা। সকল জীবের মধ্যেই তো ব্রহ্ম বতর্মান। সুতরাং , পটুয়া চিত্রকরদের গো মঙ্গল বা কপিলামঙ্গল গানও সেই পবিত্র কর্মের অঙ্গ। তাতেও গৃহস্থের মঙ্গল হয়।
আলোচ্য কপিলামঙ্গল পালার কবির নাম দ্বিজ কবিচন্দ্র। তবে পুঁথিতে কোথাও শঙ্কর উল্লেখ নেই। তবুও নিঃসংশয়াতীতভাবে ইনিই শঙ্কর কবিচন্দ্র চক্রবর্তী। পুঁথিটি কবিচন্দ্র চক্রবর্তী উল্লেখ নেই। বর্তমান কোতুলপুর থানায় পানুয়া বা পেনো গ্রাম ছিল কবির বাসভূমি ।
নিগার দক্ষিণে ঘর পান্বায় বসতি।
নিগা হল বর্তমান সমৃদ্ধ হুগলি অঞ্চলের স্বর সঙ্গতির প্রভাবে #লেগো , #পান্বা হয়েছে পেনো।
রাঢ়ভূমির কুলদেবতা ধর্ম ঠাকুর। ধর্মরূপী স্বরূপনারায়ণ সেখানে পূজিত হন কূর্ম রূপে। লেগো হল ধর্মঠাকুর বাঁকুড়া রায়ের প্রসিদ্ধ থান। অতি প্রাচীন ধর্মঠাকুর ও তাঁর মন্দির এই গাঁয়েই অবস্থান করছেন। লেগো সন্নিহিত দারাপুরগ্রাম। তার পাশে দিয়ে বয়ে গেছে আমোদর নদ। ” চাতরা রামাই পন্ডিত কলেজের অদূরেই আমোদরের এই বাঁকটি অতীতে গৌড়েশ্বরের নামে পরিচিত ছিল। প্রভুরামের ধর্ম মঙ্গলে এর উল্লেখ আছে। কবিচন্দ্রও তাঁর ধর্মমঙ্গলে গৌড়েশ্বরের নাম করেছেন।
চাতরা গ্রামে ছিল মল্লরাজার প্রতিষ্ঠিত বিষ্ণুবিগ্রহ। তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন মহন্তরা। রামানুজপন্থী মহন্তদের অস্থলের ভগ্নাবশেষ আজও রয়েছে। এখনও আছে মল্ল রাজাদের বিশাল রামসীতা মন্দির। প্রতিবছর বিজয়ার সময় এখানে রাবণকাটা রথ উৎসব পালিত হয়।
চাতরা গ্রামের পাশে মন্দিরময় আশুরালি গ্রাম। একটু দূরেই ময়নাপুরের হাকন্দ মন্দির ও ধর্মঠাকুরের অধিষ্ঠানক্ষেত্র। পূর্বে রামডিহা , মহলডাঙা ও পানুয়া গ্রাম। পানুয়ার পূর্বে ছিল ছিনা গ্রাম। পানুয়া তথা পোনোকে কেন্দ্র করে দশ বর্গ কিলোমিটার এক বৃত্তাকার অঞ্চল জুড়ে বঙ্গের প্রাচীন সাহিত্য সংস্কৃতির যে বিকাশ ঘটেছিল তার প্রমাণ আজও এই এলাকায় প্রাপ্ত হয়।
অসংখ্য পুঁথি উক্ত স্থান হতে সংগৃহিত হয়েছে। এছাড়াও অনেক মূল্যবান পুঁথি ইত্যাদি নানা গ্রামের দেবলায়গুলিতে সংরক্ষিত আছে। সুতরাং , যদি এই স্থান এবং এই স্থানের প্রতিটি মন্দিরকে হেরিটেজ করার দাবি করা হয় , তা কোনো অন্যায্য দাবি হবে কি ? এখানে অজস্র প্রাচীন মন্দির ও ধর্মঠাকুরের থান আছে। কিছু কাল পূর্ব পর্যন্ত মাটির নিচে হতে বহু প্রত্ন বৌদ্ধ – জৈন মার্গীয় দেবদেবীর ভগ্নমূর্তি পাওয়া গেছে। এই অঞ্চল যে কত সুপ্রাচীন ও সংস্কৃতি সম্পন্ন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের #রাধা উপন্যাস রচিত হয়েছে স্বকীয়া ,পরকীয়া দ্বন্দ্বের পটভূমিতে যে দলিল দুটিকে কেন্দ্র করে , তারও #ইসাদী রূপে স্বাক্ষর রয়েছে রামডিহার ব্রজভূষণ দুবের। মহলডাঙার পরম বৈষ্ণব পরিবার রূপচরণ মন্ডলের সংগৃহিত বহু পুঁথি এই অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত এবং সংরক্ষিত হয়েছে।
#ক্রমশঃ
©দুর্গেশনন্দিনী
তথ্যঋণ স্বীকার : ১. পানুয়ার ইতিকথা
২. কপিলামঙ্গল
৩. বাংলার পট ও পটুয়া
৪. ঋগ্বেদ
৫. মনুসংহিতা