সময় পেলে মন দিয়ে পড়ে , আমার সমালোচনা করবেন
জার্মানির Essen ইউনিভার্সিটিরর Neurologist রা প্রমাণ করেছেন, যাঁরা যত অধিক spriritual অর্থাৎ আধ্যাত্মিক হন, তাঁদের প্রেম ভালোবাসা বিশ্বাস ততধিক গভীর হয়, তেমনি চাহিদা কম হয় বলে এঁরা শান্তিতে জীবন যাপন করেন। নীচে জার্মান ভাষায় সেই ভিডিও লিংক আছে। আমাদের ব্রেন এর একটা স্থান মানুষের আধ্যাত্মিক হবার জন্য দায়ী। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, আধ্যাত্মিকতা মানুষের মনে সর্বরোগহারী ওষুধের এর মতোই কাজ করে। আধ্যাত্মিকতা ধনাত্মক আবহ সৃষ্টি করে। শরীর ও আত্মার গেটওয়ে হলো আমাদের ব্রেন। আজকাল EEG, কম্পিউটার স্ক্যান দিয়ে, মানুষের ব্রেন কিভাবে কখন এফেক্টেড হয়, প্রমাণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
যে সমাজ ধার্মিক, তারা ধর্মের কারণে যৌথভাবে বাঁচে, যৌথভাবে সমস্যার সমাধান খোঁজে। এগুলো আমার মন্তব্য নয়, এগুলো নিয়ে যাঁরা পড়াশুনা করেন, যাঁরা বিজ্ঞানী হয়েছেন, তাঁরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলছে। বাংলায় বামপন্থীরা হিন্দুদের ধর্মীয় সামাজিক বন্ধন ভেঙে দিয়ে, রাজনৈতিক বিশ্বাসের বন্ধনে একত্রিত করেছে ৩৮ বছর ধরে। এরা সমাজে চালু করে গেছে ধর্মের নাম উৎসব ও থিম চর্চা। কংগ্রেস ও টুকলিবাজ আম্বেদকর কোন কারণে সেক্যুলার ইন্ডিয়া তে স্কুল কলেজে হিন্দুদের ধর্ম শিক্ষা নিষিদ্ধ করে গেছে, আজ ও বুঝলাম না। আম্বেদকর কি এ জন্য নেহেরুর থেকে ঘুষ নিয়েছিল? সেক্যুলার জার্মানি তে স্কুলে সব ধর্মের ছাত্রদের ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক, আর যারা এথেয়িস্ট, তাদের জন্য বাধ্যতামূলক সব ধর্মের সারাংশ শিক্ষা। ইন্ডিয়ান ধান্ধাবাজ এথেয়িস্টরা পোষ্য মিডিয়া কে হাতে নিয়ে যেভাবে প্রতিমুহূর্ত অধিকার না থাকা সত্ত্বেও, হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আক্রমণ করে , ইউরোপের এথেয়িস্টরা কখনো এমন করেনা। এরা কখনো যীশু, মারিয়া বা বাইবেল নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনা। যে মিডিয়া বিজ্ঞাপনে চলে, সে কখনো নিরপেক্ষ হয়না- এটাই মুখস্ত করে পাশ করা সার্টিফিকেটধারীরা বোঝেনা।
তেল উৎপাদক দেশগুলোর লবি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদেরকে ঘুষ দিয়ে কিনে, তাদের পলিসি সর্বত্র কার্যকরী করার চেষ্টা করে চলেছে, এখন সেটা ধরা পরেছে , তাই কাতার অন্য ওপেক দেশ গুলোর নাগরিকদের ভিসা ফ্রি যাতায়াত আর কার্যকরী হয়নি। সাংবাদিক ও মিডিয়া মানেই আজকাল ম্যানিপুলেটর।
ম্যাক্স ধর্মঅবিশ্বাসী বাঙালীদের কাছে এই সব বিজ্ঞান গবেষণার কোনো মূল্য নেই।এরা এসব পড়েও না। কারণ এরা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির “শিক্ষাবিদ”দের লেখা টেস্ট বই এর কিছু অংশ সাজেশন হিসাবে মুখস্ত করে পাশ করে, নিজেকে জ্ঞানী ভাবে। আমার জীবনের একমাত্র টিউশন ছাত্রী ফাতিমা ও একমাত্র ছাত্র ” নাম ভুলে গেছি” , যারা 2 বার মাধ্যমিক ফেল করেছিল, তাদের আমি পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাবোর্ডের ৩০% সিলেবাস পড়িয়ে , ৫০% মার্ক্স্ পাবার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমার ছাত্রী এখন ৫ সন্তানের জননী, আর ছাত্র এখন প্রখ্যাত গুন্ডা। আমাদের দেশে শিক্ষা দেবার টেক্সট বই এর ১৯৪৭ থেকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল। সরকারি দলের ভাড়াটে শিক্ষাবিদরা সরকারি দলের পছন্দমত টেক্সট বই লিখে গেছে । সেটাই ছাত্রদের নিকট মহাকাব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । সিলেবাসে মুক্ত চিন্তার কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞান সম্মত নিরপেক্ষ টেক্সট বই কখনো লিখিত হয়নি। আর বাংলায় ৩৩% পেলেই পাশ- মহা জ্ঞানী।
আজকাল ৫% হিন্দু বাঙালিও কি ধার্মিক বা আধ্যাত্বিক? বাংলায় কোনো নিরপেক্ষ মিডিয়া নেই। মিডিয়া র মালিক এডিটর কে বলে দেয় , কেমন টাইপের রিপোর্টিং করতে হবে, সাংবাদিক নামের ভাড়াটে সাতহ্যিক রা চাহিদা অনুযায়ী টেক্সট উৎপন্ন করে মালিকের প্রফিট টার্গেট পূরণ করে, নিজেদের কাজ বজায় রাখে। অনেক লোকদের চিনি, যারা সাংবাদিকদের ঘুষ দিয়ে নিউজ করায়। আর সেই ঘুষ এর ভাগ টিমের সবাই পায়।
আমি বিশ্বব্যাপী যে সব লোকদের চিনি, তাদের মধ্যে যাঁরা স্পিরিচুয়াল তাঁরা সত্যি কম স্ট্রেসে ভোগেন, দুর্নীতিবাজ হন না, পরকীয়া করেনা। তাঁরা সুখে শান্তিতে আছেন। এদের সন্তান রাও সুখী ও প্রতিষ্ঠিত। প্লাসিবো ইফেক্ট দিয়ে প্রমান হয়েছে, বিশ্বাস এর মাধ্যমে অনেক রোগ সেরে যায়। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর – একটা প্রবাদ ও আছে।বাংলার অশিক্ষিত, ধান্দাবাজ, মূর্খ বামপন্থী ও তাদের শিক্ষাপদ্ধতি ও রাজনীতি যেমন নোংরা, তেমনি সেই রাজনীতির উত্তরাধিকারীরা বাঙালিকে সব দিক থেকেই বিনাশ করে দিচ্ছে। সেটা বোঝার বুদ্ধি GB আর খুঁজে পাওয়া যায়না। কারণ কোনো কিছুর নিরপেক্ষভাবে বিরোধিতা করতে গেলে, সাহসী, নির্ভিক,নির্লোভী হতে হয়, লাগে নির্ভেজাল জ্ঞান ও নিজের আয়ে বাঁচার সুযোগ। সরকারি বেসরকারি চাকুরী করে, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা ভারতে করা যায় কি?
আজকাল ১% বাঙালী পাওয়া যায়না, যারা নির্ভয়ে সত্যের চর্চা করতে সোশ্যাল মাফিয়াতেও সাহস পায়। সাহস না পাবার কারণ হলো, অশিক্ষিত বামপন্থী ও অন্য এক ঈশ্বরবাদী ধার্মিক রা যৌথভাবে এদেরকে ব্লক করে দেয়। সেই সাথে সরকারি ভাড়াটে গুন্ডার চাপ।
আজকাল জার্মানি সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া তে এস্ট্রোলোজি নিয়েও বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা শুরু হয়েছে। অনেক পূর্বেই আয়ুর্বেদ ও যোগ নিয়ে
গবেষণা করছে জার্মানির মেডিয়াল ইউনিভার্সিটি গুলো! গবেষণা করেই ভুল প্রমাণ করে মানুষকে সেটা জানাতে হয়। মূর্খের মত বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ না করে, অনুমান করে কোনো সংস্কারকে অন্ধবিশ্বাস বলে চালিয়ে দেয়া, কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যক্তির কাজ কি? কুসংস্কার বিরোধী প্রবীর মিত্র (?) এই কাজটাই করে। অনেকবার তার সাথে বিতর্কে আসতে চেষ্টা করেছি , সে এড়িয়ে গেছে। কোনো প্রশ্ন করে উত্তর দেয়না।
জার্মানরা সৌভাগ্যবান , কারণ এদেশের জনগণ মাসে ১৮ ইউরো দিয়ে স্বশাসিত মিডিয়ার ব্যবস্থা করেছেন, যে মিডিয়া রাজনীতি বা ব্যবসায়ী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, কারণ সেখানে প্রায় কোনো বিজ্ঞাপন দেয়া হয়না। তাই এরা নানা বিষয়ে নির্ভয়ে রিপোর্টিং করতে সাহস পায়। তাই জনগণ অনেক বিষয়ে ঘরে বসেই জানতে পারেন , রাজনীতি ও ধর্মনিরপেক্ষ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, আজকাল ম্যাক্স গবেষণা, ইন্ডাস্ট্রি নিজেদের প্রফিটের জন্য নিজেদের টাকা দিয়ে করায় , নিজেদের পছন্দমত উত্তর বের করে, নিজেদের মিডিয়া দিয়ে মানুষ কে ম্যানিপুলেট করে। সরকারি টাকায় কোথাও কোথাও হয়ত বেসিক গবেষণা হয়। আর মহাব্রহ্মান্ডে যত রহস্য আছে, তার ১০% ও মানুষ জানেনা বলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন। যেদিন বিজ্ঞান সব রহস্য উদ্ধার করতে পারবে, সেদিন মানুষ বিজ্ঞান কেই বিশ্বাস করবে। সনাতন ধর্মী দের ভোরের সূর্য্যপ্রণাম করে দুধ দই খাওয়ার ফলে শরীরের ও মনের যে উপকার হয়, আজকাল বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন। এতকাল অশিক্ষিত বামপন্থীরা সূর্য্যপ্রণামকে কুসংস্কার বলতো। বিজ্ঞান কে বিশ্বাস করুন, তবে রাজনীতি বিদ দের বক্তব্যে নিরপেক্ষ বিজ্ঞানীর গবেষণার উল্লেখ না থাকলে, কোনো মতেই বিশ্বাস করবেন না। আর প্রত্যেক NGO তার অর্থদাতার টার্গেট পূরণ করে, খুব কম ব্যবসায়ী বা দেশ নিজের স্বার্থ ছাড়া NGO পোষে। কাজ টিকিয়ে রেখে জীবন ধারণ করার জন্য, NGO কর্মীরা মিডিয়া কে সাথে নিয়ে তাদের বক্তব্য জনগণকে ম্যানিপুলেশন করে প্রতিষ্ঠিত করে। পশ্চিমারা NGO ও মিডিয়া পোষে এক কারণে আবার ওপেক মিডিয়া ও NGO পিসহ অন্য কারণে। আমরা কখন জিজ্ঞাসা করিনা, এই NGO র টাকা কারা কেন দিচ্ছে? এরা ডেটা সংগ্রহ করে, কোন কাজে লাগাচ্ছে ?
সত্যের সন্ধান ও চর্চা করুন – তা হলেই সমাজের উপকারে আসবেন।
মৃণাল মজুমদার, ১৬,১২,২০২২
https://www.3sat.de/wissen/wissenschaftsdoku/221215-sendung-rituale-esoterik-aberglaube-wido-100.html