শ্রদ্ধা-হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। খুনের পর ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হল তরুণীর দেহ। ঘটনাস্থল সেই দিল্লি। অভিযুক্ত প্রেমিক সাহিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত তরুণীর নাম নিকি যাদব। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকার গলায় ডাটা ক্যাবল পেঁচিয়ে খুনের পর মৃতদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে সাহিল। শুধু তাই নয়, ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর অন্য এক তরুণীকে বিয়েও করে সে।
জানা গিয়েছে, বছর ২৪-র সাহিলের সঙ্গে ২০১৮ সালে নিকি যাদবের পরিচয় হয়। কিছুদিন বন্ধুত্বের পরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করে। অভিযুক্ত সাহিলের দাবি, তাঁর পরিবারের তরফে নিকির বদলে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। শেষে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এনগেজমেন্ট ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। চলতি বছরের ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে দুটি অনুষ্ঠান ছিল। এদিকে, সাহিল বিয়ে সম্পর্কে কোনও কথাই নিকিকে জানায়নি। কিন্তু অন্য এক বন্ধুর মারফত গোটা বিষয়টি জানতে পারে এবং এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি শুরু হয়।
৯ ফেব্রুয়ারির রাতে সাহিল গাড়িতে রাখা ডেটা কেবল গলায় পেঁচিয়ে খুন করে নিকিকে। এরপরে তাঁর দেহ নিয়ে নজফগড়ের ওই ধাবায় যায় এবং সেখানের ফ্রিজে লুকিয়ে রেখে আসে। বাড়ি ফিরে পরিকল্পনা মাফিকই অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করে সে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এক মহিলাকে খুন ও তাঁর দেহ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ আসে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধারের পরই অভিযুক্ত সাহিলকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগেই শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে শিহরিত হয়ে ওঠে দিল্লি-সহ সারা দেশ। দিল্লির মেহরৌলির ছতরপুরে ফ্ল্যাট ভাড়া করে প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালার সঙ্গে থাকতেন শ্রদ্ধা। অভিযোগ, ওই ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ফ্রিজে ভরে রাখে আফতাব। এর পর কয়েক দিন ধরে প্রেমিকার নিথর দেহ ৩৫ টুকরোতে খণ্ডিত করে। সে সব রাখার জন্য কিনে আনে বড় ফ্রিজ। এর পর খণ্ডিত দেহাংশ ছড়িয়ে দিত মেহরৌলি এলাকায়। ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার বিয়ের প্রস্তাবে কিছুতেই রাজি ছিল না তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাব। এই নিয়ে রোজ ঝগড়া অশান্তি লেগেই থাকত। অভিযোগ, একদিন ঝগড়ার মধ্যেই শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।