“হিন্দুদের সংঘবদ্ধ লড়াই বাঁচবার একমাত্র পথ”,হিন্দু জাগরণের কার্যকরী সভায় বললেন প্রবাদপ্রতিম হিন্দু নেতা রামগোপালন

দীর্ঘ ৭০বছর ধরে তিনি দেশের নানা প্রান্তে হিন্দুদের রক্ষা করে চলেছেন | হিন্দু জাতি শুধু নয়, আগলে রেখেছেন হিন্দুদের দেবদেবীর প্রাচীন মন্দির,সৌধ| পরিবর্তে নিজের প্রাণ বাজি রাখতেও মোটেই পিছুপা হননি| দক্ষিণ ভারতে মূলত তামিলনাড়ুতে হিন্দু জাতির ধ্বজা ওড়ানো এই প্রবাদ প্রতিম মানুষের গলায় তাই ৯৩ বছর বয়সেও এখনও একই দৃপ্ততা অনুভব করলেন অসংখ্য হিন্দু সৈনিকরা| হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভায় তার বক্তৃতায় নতুন করে উদ্ধুদ্ধ হলেন শত শত কর্মীরা | হিন্দু রক্ষার কাজ যখন শুরু করেছিলেন তখন কাজটা মোটেই খুব সহজ ছিলনা |

বিভিন্ন গ্রামে জোর করে হিন্দুদের ইসলামে ধর্মান্তরকরণকে আটকাতে দিনরাত এক করে দিয়েছেন হিন্দু মুন্নানীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবাদ প্রতিম রামগোপালন জী | কাজ করতে গিয়ে বুঝেছিলেন এই প্রতিরোধ এককভাবে না করে প্রয়োজন সংঘবদ্ধ হয়ে করা | এই উপলব্ধি হয়েছিল যতদিন এগিয়েছে ততই | শেষমেশ মীনাক্ষীপুরমের বেশ কিছু গ্রামে ১৯৮১সালে গণহারে ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে তাকে রুখে দেওয়ার জন্য তৈরি করেন হিন্দুদের সংগঠন,হিন্দু মুন্নানী |

সনাতন ধর্ম রক্ষার অতন্দ্র প্রহরায় নিয়োজিত যুবক রামগোপালনের তৈরি এই সংগঠনই আদতে দক্ষিণ ভারতের হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামে পরিচিত | ইসমালীকরণ আটকানোর পরিবর্তে একাধিক সময় তাঁকে জেহাদীদের হুমকির মুখে পড়তে হয় | তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২০১৪সালে একটি চিটি পাঠানো হয় | যার অনুসন্ধানে নেমে পুলিশ জানতে পারে তার হিন্দু এই নেতার প্রাণের বিনময়ে তারা ইসলামিক স্টেটের এক জঙ্গীর মুক্তি চায় | ছোট খাটো থেকে বড়সড় আঘাত কোন কিছুই দমাতে পারেনি এই হিন্দু নেতাকে |

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কার্যকারী সভাতে এসে লৌহদৃপ্ত কন্ঠে ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে একই যুদ্ধ জিইয়ে রাখার পরামর্শ দিলেন রামগোপলান জী | বলেন, “হিন্দুত্ববাদকে জাগিয়ে রাখতে হবে মনের কোণায় | কোন দয়া ভিক্ষা নয় | অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে | যতক্ষণ না প্রতিটি হিন্দুর মনে এই ভাব জাগ্রত হবেনা ,ততক্ষণ হিন্দু জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব নয় | সম্মিলিত বুদ্ধি,বাহু ও শক্তি প্রয়োগই হিন্দুদের বাঁচানোর একমাত্র উপায় |

আর এর জন্য ঘরে বসে নয় | আমার মত যেতে হবে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে | আমি তামিলনাড়ুর প্রতিটি হিন্দু ঘরে পৌঁছেছি| আমি দেখেছি সমাজের কোথাও অস্পৃশ্যতা নেই | অস্পৃশ্যতা আছে ভয়ঙ্কর প্রচারে। দেখেছি সমাজে অনেক ভালো লোক আছেন। তাদেরকে খুঁজে নিজেদের মধ্যে সামিল করে সমাজের কাজে জুড়ে দিতে হবে | তবেই রক্ষা পাবে আমাদের সনাতন ধর্ম |” তিনি আরও বলেন,”সুব্রামনিয়াম স্বামী প্রেরণায় লক্ষ লক্ষ মানুষ এগিয়ে এসে সমাজের কাজে যুক্ত হয়েছেন | পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই | তাই পরিশ্রম করেই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে হিন্দু সমাজকে গড়তে হবে । উদাহরণ স্বরূপ বলেন পরিশ্রমে বিশালাকার হিমালয় পর্বতও হজম হয়ে যাবে |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.