দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের লাভ জিহাদি প্রেমের গল্প

একটি প্রেমের গল্প বলি –

ছেলেটা নারী অধিকারের জন্য লড়াই করে…সমাজের ভেদ ভাব দূর করতে সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই করে..ছেলেটা একটা ব্লগার…ছেলেটার নাম “আফতাব”…. তারপর একদিন “শ্রদ্ধার” সাথে পরিচয় হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে…প্রেমের শুরু হয়তো ওখান থেকেই…আফতাবের কার্যকলাপ, আফতাবের সোশ্যাল ওয়ার্ক সব ভালো লাগে শ্রদ্ধার… তারপর তারা “লিভ ইন” শুরু করে..মানে এক সাথে থাকা বিয়ে না করে সোজা ভাষায়…প্রেম আগে সামাজিক স্বীকৃতি কি যায় আসে…?
যাই হোক এভাবেই প্রেমে ভাসতে থাকে…হটাৎ একদিন শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বন্ধ হয়ে যায়… সবাই চিন্তায় পরে যায় ভালোবাসায় ডুবে গেলো নাকি..…পুলিশ শ্রদ্ধা কে খুঁজতে শুরু করে…18 দিন পরে পুলিশ খোঁজ পায় আফতাবের ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধা… খুব যত্ন করে শ্রদ্ধাকে 35 টুকরো করে ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছে আফতাব..।

এমন ভালোবাসার উদাহরণ অনেক আছে..এমন ভালোবাসা অমর হয়ে থেকে যাক…সব শ্রদ্ধাকে আফতাব এভাবেই যত্ন করে রাখুক!!!তাতে নিন্দুকেরা কি বললো কিছু যায় আসে না।

হ্যাঁ আমি সেই দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের লাভ জিহাদি প্রেমের গল্প বললাম

দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে (Delhi Case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Poonawalla) একাধিক ক্রাইম ঘরানার সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ (Crime Movies and Web Series) দেখতেন বলে জানাচ্ছেন। তাঁর ‘ওয়াচলিস্ট’-এ ছিল ‘ডেক্সটার’ (Dexter), যা তিনি এই ঘটনা ঘটানোর আগেই দেখেছিলেন। খবর মিলেছে দিল্লি পুলিশ সূত্রে।

ক্রাইম ঘরানার ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা দেখতেন আফতাব
। ২৮ বছর বয়সী আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে তাঁর প্রেমিকাকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। দিল্লির একাধিক জায়গায় বান্ধবীর দেহাংশের নিষ্পত্তি ঘটায় বলেও দাবি পুলিশের।

মুম্বইয়ের বাসিন্দা অভিযুক্ত আফতাব। শনিবার তাঁকে মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় এবং ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আধিকারিকদের কথায়, মৃতা শ্রদ্ধা ওয়াকারের (২৭), প্রেমিক আফতাবের সঙ্গে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়। 

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘মুম্বইয়ে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় দুই জনের। তিন বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং দিল্লিতে এসে থাকতে শুরু করেন। দিল্লিতে চলে আসার পরই শ্রদ্ধা ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।’

পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে ‘দুইজনের মধ্যে প্রায়ই বিয়ে নিয়ে সমস্যা হত এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেত। ১৮ মে-র এই নির্দিষ্ট ঘটনায় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে যুবক। অভিযুক্ত জানিয়েছে যে সে প্রেমিকার দেহ টুকরো করে এবং আশেপাশে ছত্রপুর এনক্লেভের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলে দিয়ে আসে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।’

সূত্রের খবর, শ্রদ্ধার আগেও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। শ্রদ্ধাকে খুন করার আগে সে একাধিক ক্রাইম সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ দেখেছিলেন, যার মধ্যে আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ডেক্সটার’ও ছিল। 

তদন্তের শুরুর দিকে, মৃতার শেষ লোকেশন পাওয়া যায় দিল্লিতে। তার ওপর ভিত্তি করেই মামলাটি দিল্লি পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। 

জানা গেছে, প্রেমিকার দেহাংশ রাখার জন্য একটি ফ্রিজও কেনে অভিযুক্ত। এরপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় দেহের একাধিক অংশের নিষ্পত্তি করতে শুরু করে সে। ১৮ দিন ধরে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করে সে। সূত্রের খবর, আফতাল প্রত্যেকদিন সেই ঘরেই ঘুমোতেন, যেখানে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে রেখেছিলেন। প্রত্যেকটা টুকরোর নিষ্পত্তি করার পর ফ্রিজটা পরিষ্কারও করে সে।

অভিযুক্তের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ বেশ কিছু হাড়ের নমুনাও জোগাড় করেছেন। শরীরের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। 

জানা গেছে, প্রেমিকার দেহাংশ রাখার জন্য একটি ফ্রিজও কেনে অভিযুক্ত। এরপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় দেহের একাধিক অংশের নিষ্পত্তি করতে শুরু করে সে। সূত্রের খবর, আফতাব প্রত্যেকদিন সেই ঘরেই ঘুমোতেন, যেখানে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে রেখেছিলেন। প্রত্যেকটা টুকরোর নিষ্পত্তি করার পর ফ্রিজটা পরিষ্কারও করে সে।

অভিযুক্তের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ বেশ কিছু হাড়ের নমুনাও জোগাড় করেছেন। শরীরের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। 

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি –

যে পরিবার ছেড়ে সে এসেছিলো সেই তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে যে মেয়ে এতো রেগুলার তার কোনো পোস্ট না দেখে, চিন্তিত হয়। এরপর ফোন করেও না পেয়ে বাবা নিজেই দিল্লি আসেন মেয়েরে খুঁজতে। এরপর পুলিশে রিপোর্ট করেন। ১৮ মে খুন হওয়া মেয়ের খুনের রহস্য এখন সমাধা হয়েছে প্রেমিককে গ্রেফতার করার পরে।

যে পরিবারকে শ্রদ্ধা ছেড়ে এসেছিলো তারাই দূর থেকে মেয়ের খোঁজ নিয়েছে, মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি দেখেছে, মেয়ের জন্য কাঁদলে আজকে তারাই কাঁদছে। পরিবার সংসার ধর্ম সব পিছনে ফেলে কার পিছনে যাচ্ছেন একটু ভাবেন। দুই একটা ব্যতিক্রম হয়তো আছে, কিছু বাবা মা খারাপ আছেন, কিন্তু রক্তের বাঁধনের চেয়ে বড় কিছু নেই। বাবা মায়ের ভালবাসার চেয়ে কেউ বেশি ভালবাসে না। কেউ না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.