শুরুতেই সকল গুরূজন দের জানাই বিজয়ার প্রনাম |
মা এর ভাসানে যখন মন বিষন্ন তখনই দেবী লক্ষ্মীর আগমন আমাদের মনে নতুন আসার আলো জ্বেলে যায়।
এবার যদি দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার কথা বলতে হয়, তবে বলি আমার মা বলেন লক্ষ্মী চঞ্চলা। তাই দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা সিষ্টাচার মেনে করতে হয়,বিশেষত মেয়ে দের। আমাদের রীতি মত শুধু লক্ষ্মীর পূজা নয় , তার সাথে সেদিন রাতে বাড়ির দরজায় সামনে মুড়ো ঝাঁটা , গোবর ও অন্যান্য আরও কিছু সরঞ্জাম দিয়ে অলক্ষ্মী পূজাও করতে হয় এবং অলক্ষ্মী যাতে বাড়িতে প্রবেশ না করে তার জন্য প্রার্থনা করতে হয়।
আমরা জানি দেবী লক্ষ্মী ধন অন্নের দেবী, তবে মা বলেন লক্ষ্মী মা বাড়ির মেয়ে দের হাত ধরে বাড়িতে শান্তি ও আনে। তাই আমাদের কথা তেও আছে ” লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে থাকবে”।।
কোজাগরী অর্থে, কে জাগরী অর্থাৎ কে জেগে আছ(পূরান মতে)।
কথিত আছে দেবী সেদিন সারারাত জগত পরিভ্রমণে বেরোন, আবার এও শোনা যায় , যে ব্যক্তি সারারাত জেগে থাকেন এবং পাশা খেলেন মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হয়ে তাকে ধনসম্পদ দান করেন। তাই সে দিন সারারাত আলপনা সহযোগে প্রত্যেক গৃহস্থের বাড়িতে ঘি এর প্রদীপ জ্বেলে শঙ্খ ও উলুধ্বনি তে দেবীর আরাধনা হয়।।
তাই এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা আমরা ধূপ, দ্বীপ, আলপনা সহযোগে নিষ্ঠা সহকারে ছোট থেকে বড় প্রায় সকলেই করে থাকি।।সব শেষে এই টুকুই প্রার্থনা করি সকলে যেন লক্ষ্মী দেবীর কৃপাতে ভালো থাকেন , কোনো মানুষ যেন অনাহারে না মারা যায়।।
” এসো মা লক্ষ্মী বোসো ঘরে,
আমারি ঘরে থেকো আলো করে”।।
©স্নেহা চ্যাটার্জি