Jagannath Snanyatra: স্নানযাত্রা আজ নয়, মহিষাদলে রথের গল্পটা একবারে অন্য…

জগন্নাথদেবকে স্নান করিয়ে স্নানযাত্রা (Jagannath Snanyatra) নয়, মহিষাদল রাজ পরিবারের রথযাত্রার স্নান যাত্রার নিয়ম রীতি একেবারে অন্য রকম, যেখানে পঞ্চ-গব্য দিয়ে রথের ৩৪ চাকাকে স্নান করানোই রাজবাড়ির স্নান যাত্রার রীতি! প্রাচীণ সেই রীতি আজও চলে আসছে। তবে আজ স্নান যাত্রার দিনে নয়, কাঠের রথের কাঠের চাকাগুলিকে গঙ্গা জল, দই, দুধ, ঘি, মধু সহ আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি দিয়ে পুজো আর স্নান করানো হয় রথের দিনগুলিতেই। রথ টানার সময় প্রায় তিন ঘন্টা ধরে এই চাকার স্নান যাত্রা চলে। তাই আজকের স্নানযাত্রার দিনে দেবতার গায়ে জল ঢেলে স্নানের ছবি নয়, মহিষাদল রাজ পরিবারের ১৩ চূড়ার রথের স্নান যাত্রা মানে রথের চাকাকেই স্নান করানো।

প্রায় আড়াইশো বছর ছুঁই ছুঁই বছর মহিষাদল রথের। এক সময়ে এই কাঠের রথের চুড়া ছিলো ১৭, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চূড়ার সংখ্যা কমেছে। এখন ১৩ টি চূড়া মহিষাদল রথের। চাকার সংখ্যা ৩৪টি। রথের সেই ৩৪ টি কাঠের চাকাকেই পঞ্চ গব্য দিয়ে পুজো করা হয়। যাতে এঁটেল মাটিতে রথের চাকা আটকে না যায়, সেদিকে তাকিয়েই রথ টানার সময় এই স্নান যাত্রা চলে বলে ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন।

যদিও এত ইতিহাস যে রথের খাঁজে খাঁজে, সেই রথ এবারও টানা হবে না। গত বছরের মতো এবারও পুজো-আচ্চা হবে, কিন্তু রথের রশিতে টান পড়বে না। করোনার কারনে এবারও রথ টানা হবে না। কিন্তু অন্যান্য আনুষাঙ্গিক উপাচার পালিত হবে।

যেমনটা গতবার হয়েছিল, তেমনটি হবে এবারও। রথে চড়ানো হবে জগন্নাথদেব ও গোপাল জীউর মূর্তিকে। পুজো শেষে রাজবাড়ির ডংকা চাপিয়ে দেবতাদের নিয়ে যাওয়া হবে মাসিবাড়ি গুন্ডিচাবাটিতে, হবে পুজো পাট। সাতদিন পর উল্টোরথের দিনেও একইরকম ভাবে পুজো হবে। রথে উঠবেন জগন্নাথদেব আর রাজবাড়ির কূলদেবতা গোপাল জীউ। সব কিছু হবে অনাড়ম্বর পরিবেশে এবং করোনা বিধি মেনেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.