শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের পর দেশের একাধিক জায়গা থেকে খুনের পর দেহ টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এবার একই কাণ্ড ঘটল ঝাড়খণ্ডে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের পর ১২ টুকরোয় কেটে দেহ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিলদার আনসারির বিরুদ্ধে।
শনিবার সন্ধ্যায় সাহেবগঞ্জের বোরিও থানা এলাকার একটি পুরনো ভাঙা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু দেহাংশ। পরে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্ত যুবক দিলদার আনসারির দু’ টি বিয়ে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুবিকা নিখোঁজ ছিলেন। এরপর সেই মহিলার পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তাঁর স্বামী দিলদার আনসারিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দেহ হওয়াতেই পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। অবশেষে টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত। পুলিশকে চরম পরিণতির কথা বলে। এরপর শনিবার সন্ধেয় সাহেবগঞ্জের সেই পরিত্যক্ত ভাঙা বাড়িতে গিয়ে মৃত মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাহেবগঞ্জ এলাকার পুলিশ সুপার বলেন, দিলদারকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গেছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই সে নিজের স্ত্রী’ কে খুন করেছে। পুলিশের ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুবিকাকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করতে বৈদ্যুতিক করাত ব্যবহার করেছিল সে।