পয়লা জানুয়ারির পিকনিকে ছাত্রদের ইচ্ছাকৃত হালাল মাংস খাওয়ানো হয়। অভিযোগ এই ঘটনার পিছনে ছিলেন রাঁধুনি নূর ইসলাম এবং চুক্তিবদ্ধ পিটি শিক্ষক ওয়াহিদ হোসেন। সে কথা জানতে পেরেই ওই পিটি শিক্ষক এবং রাঁধুনিকে বেঁধে পেটাল ছাত্ররা। অসমের কাছাড় জেলার নবোদয় বিদ্যালয়ের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গত পয়লা জানুয়ারি স্কুলে মুরগির মাংস রান্না করা হয়েছিল। স্কুলের হেড রাঁধুনি ছুটিতে থাকায় রান্নার দায়িত্ব ছিল হেল্পার নূর ইসলামের উপরে। কিন্তু পিটি শিক্ষক ওয়াহিদ হোসেন এবং নূর ইসলাম স্কুলের নিয়ম লঙ্ঘন করেই মুরগিগুলিকে হালাল করেন। তারপর সেই মাংস ছাত্রদের খাওয়ানো হয়। ছাত্ররা না জেনেই হালাল মাংস খেয়ে নেয়। কিন্তু মুরগি হালাল করার সময় স্কুলের এক বোবা শ্রমিক তা দেখে ফেলে। সে পরে স্কুলের আর একজনকে আকার-ইঙ্গিতে বলে দেয়।
পরের দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারি ছাত্রদের কানে পৌঁছয় হালাল মাংস খাওয়ানোর কথা। আর তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের হোস্টেলে প্রায় ১৩০ জন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
প্রায় রাত নয়টা নাগাদ একদল ক্ষিপ্ত ছাত্র নূর ইসলামকে ডেকে আনে। তাকে হালাল মাংসের কথা জিজ্ঞেস করে। সে ‛হ্যাঁ’ বলতেই তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। মারের চোটে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারপর উত্তেজিত ছাত্ররা পিটি শিক্ষক ওয়াহিদ হোসেনকে ধরে এনে বেধড়ক পেটাতে থাকে। মার খেয়ে মাথা ফেটে যায় ওই শিক্ষকের। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ওই শিক্ষককে বাঁচাতে ছুটে আসেন অন্য শিক্ষকরা। উত্তেজিত ছাত্ররা তাদেরকেও মারধর করে।