পর্ব ২

গুরু গোরক্ষনাথ ছিলেন কনফট্ নাথযোগী। তিনি ষড়রিপুকে জয় করতে পেরেছিলেন। নানা তথ্যে জানা যায় যে গোরক্ষনাথ নয় নাথের এক নাথ ছিলেন। অর্থাৎ নয়জন যোগী মূল গুরুর একজন ছিলেন তিনি। তিনি অসম্ভব বিদ্যান্ , সুপন্ডিত ছিলেন। গোরক্ষসংহিতা ছাড়াও তিনিই গোরক্ষশতক ও গোরক্ষকল্প নামক গ্রন্থ রচনা করেন। প্রসঙ্গত হঠপ্রদীপিকা , দত্তাত্রেয়সংহিতা এবং গোরক্ষসংহিতা – এই তিন গ্রন্থে সকল যোগী সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠেয় যোগপ্রনালীর আসন প্রাণায়াম সমুদায় অঙ্গের সবিশেষ বৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে। আরো জানিয়ে রাখি , দত্তাত্রেয় ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের সম্মিলিত রূপ। “দত্তাত্রেয়” নামটি দু’টি অংশে বিভক্ত: “দত্ত” অর্থাৎ যা দেওয়া হয়েছে এবং “আত্রেয়” অর্থাৎ, ঋষি অত্রির পুত্র। তাঁর মাতা অনুসূয়া । তাঁর ভ্রাতাদ্বয় হলেন দুর্বাসা এবং চন্দ্র। বিভিন্ন সনাতনী সম্প্রদায়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে তাঁকে পূজা করা হয়। নাথ সম্প্রদায় তাঁকে শিবের অবতার মনে করেন। অনেকে মনে করে তিনিই আদিনাথ। তন্ত্রে তাঁকে “যোগের ঈশ্বর” মনে করেন। তিনি বৈষ্ণব ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িত। তাঁকে একজন গুরু হিসেবে পূজা করা হয়। মনে করা হয়, দত্তাত্রেয় অদ্বৈত বেদান্তের ভাষ্য ত্রিপুর রহস্য রচনা করে পরশুরামকে দান করেছিলেন।

Moukhira is a lesser known, ancient #Shiva temple in the Burdwan district of West Bengal. Made of brick, this temple captures the distinct architectural style of that time.

ভাগবত প্রথম স্কন্ধের তৃতীয় অধ্যায় বলা হয়েছে –

ষষ্ঠমত্রেরপত্যত্বং বৃতঃ প্রাপ্তেহনসূয়য়া।
আন্বিক্ষিকীমলর্ক্কায় প্রহলাদাদিভ্য উচিবান্।।

অত্রি ও অনুসূয়ার পুত্র দত্তাত্রেয় ভগবানের ষষ্ঠ অবতার। তিনি অলর্ক্ক ও প্রহ্লাদাদিকে আত্মবিদ্যা দিয়েছিলেন।

মার্কণ্ডেয় পুরাণে বলা হয়েছে –

মুনিপুত্রবৃতো যোগী দত্তাত্রেয়োহপ্যসঙ্গতাম্।
অভীপ্সামানঃ সরসি নিমমজ্জ চিরং বিভুঃ।।

অর্থাৎ, মুনিপুত্র দ্বারা পরিবেষ্টিত বিভু দত্তাত্রেয় লোক সংসর্গ পরিত্যাগ ইচ্ছা করে বহুকাল সরোবরে মগ্ন হয়েছিলেন।

যাক, তো যা বলছিলাম , ত্রৈগুণ্যবিষয়া বেদা নিস্ত্রৈগুণ্যো ভবার্জ্জুন – সেইরকমই সকলগুনের অধিকারী হয়ে গোরক্ষনাথ ত্রিগুনাতীত হয়েছিলেন। তাই তাঁকে নাথযোগীগণ শিবাতার বলে বিশ্বাস করেন এবং তাঁকে অন্যতম শ্রেষ্ঠগুরু স্বীকার করে হঠযোগ অভ্যাস করে থাকেন। কবীর এবং গোরক্ষনাথের একটি কথপোকথনাত্মক প্রবন্ধতে লিখিত আছে – গোরক্ষনাথ বলছেন –

আদিনাথকে নাতী মচ্ছন্দ্রনাথকে পুত।
মৈঁ যোগী গোরখ্ অবধূত।

Rahreswar Shibtola

এখানে নাতী বা পুত মানে দৌহিত্র বা পুত্র এসব ভাবার কারণ নেই। এগুলি রূপকমাত্র। একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গুরু পরিচয়ই শিষ্যের মূল পরিচয় হতো, বিশেষ করে যাঁরা গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হতেন। কারণ তাঁদের পূর্বাশ্রমের কথা চিন্তা করতে নেই। গুরু তাঁর প্রিয় এবং যোগ্য শিষ্যকে আপন সন্তান , কিয়দ ক্ষেত্রে সন্তানের হতে অধিক স্নেহ করতেন। তাই গুরু পরিচয় শিষ্যের নিকট সব ছিল। গুরুর নাম অনুসারেই তাই আমাদের গোত্র নির্বাচন হয়ে থাকে। মহাভারতে গুরু দ্রোণ যে জ্ঞান বা শিক্ষা তাঁর পুত্র অশ্বথ্থামাকে যে জ্ঞান বা শিক্ষা দেন নি , সেই জ্ঞান বা শিক্ষা অর্জুনকে দিয়েছিলেন। আবার শ্রীকৃষ্ণ গুরু ঋষি সন্দীপন আপন পুত্রকে হারিয়ে পুত্রসম কৃষ্ণ , বলরামকে নিজের সকল জ্ঞান উজাড় করে দিয়েছিলেন। পরশুরাম ব্রাহ্মণবেশী সূর্যপুত্র কৌন্তেয় কর্ণকে বড় স্নেহ দিয়ে আপন জ্ঞানদান করেছিলেন এবং সেই কারণে তিনি যেমন কর্ণকে অভিসম্পাত দেন ,তেমনি তাঁকে শ্রেষ্ঠ বীর এবং ইতিহাসে অমর হবার আশীষও দেন। আবার দেবগুরু বৃহস্পত পুত্র কচের গুরু ছিলেন দৈত্যগুরু শুক্লাচার্য। তিনি কচকে এতই স্নেহ করতেন যে নিজের জীবন সংশয় হবে জেনেও তিনি কচকে মহাদেব হতে প্রাপ্ত গুহ্য মৃতসঞ্জীবনী মন্ত্রশক্তি প্রদান করেন।

three-shiva-temples-in-dubrajpur

আইন – ই – আকবরিতে অযোধ্যার বিবরণে লিখিত লেখা আছে – সেকেন্দর লোদীর( ১৪৮৮- ১৫১৭) রাজত্বকালে কবীর জীবিত ছিলেন। অর্থাৎ , কবীর ও তাঁর সমকালবর্তী গুরু গোরক্ষনাথও ওই সময় বা তার কিয়দ অগ্ৰ – পশ্চাৎ সময়ে অবতীর্ণ হন। পূর্বেই হবে হয়তো, কারণ কবীর তাঁর বীজেক নামক পুস্তকের রচনাদিতে অব্যহতিকালপূর্বে গোরক্ষনাথের দেহরক্ষা করেছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

শ্রী হ হ উইলসন যদিও বলেছেন – হঠপ্রদীপিকায় লিখিত মৎস্যেন্দ্রনাথের শিষ্য পরম্পরার মধ্যে গোরক্ষনাথ পঞ্চম ছিলেন , কিন্তু তা সঠিক নয়। কারণ তিনি যে বচন অনুসারে এসব লিখেছিলেন তার তাৎপর্য এরূপ নয় । শ্লোকটি মহাসিদ্ধ যোগীদের নাম উল্লেখ করে। শ্লোকটি এরূপ –

শ্রীআদিনাথ মৎস্যেন্দ্র সারদানন্দ ভৈরবাঃ।
চৌরঙ্গী মীন গোরক্ষ বিরুপাক্ষ বিলেশয়াঃ।।
মন্থানভৈরবোযোগী সিদ্ধবোধশ্চ কন্থড়ী।
কোরণ্ডকঃ সুরানন্দ সিদ্ধপাদশ্চ চর্পটী।।
কণেরিঃ পূজ্যপাদশ্চ নিত্যনাথো নিরঞ্জনঃ।
কাপালি র্বিন্দুনাথশ্চ কাকচণ্ডীশ্ববোময়ঃ।।
অক্ষয়ঃ প্রভুদেবশ্চ ঘোড়াচূলী চ টিণ্টিনী।
ভল্লটির্নাগবোধশ্চ খণ্ডকাপালিকস্তথা।।
ইত্যাদয়ো মহাসিদ্ধা হঠযোগপ্রভাবতঃ।
খণ্ডয়িত্বা কালদণ্ডং ব্রহ্মাণ্ডে বিচরন্তি যে।।

আদিনাথ, মৎস্যেন্দ্র, সারদানন্দ, ভৈরব, চৌরঙ্গী, মীন, গোরক্ষ, বিরূপাক্ষ, বিলেশয়, মন্থানভৈরব, সিদ্ধবোধ, কন্থড়ী, কোরণ্ডক, সুরানন্দ, সিদ্ধপাদ, চর্পটী, কণেরি, পূজ্যপাদ, নিত্যনাথ, নিরঞ্জন, কাপালি, বিন্দুনাথ, কাকচণ্ডীশ্বর, ময়, অক্ষয়, প্রভুদেব, ঘোড়াচুলী, টিণ্টিনী, ভল্লটি, নাগবোধ, খণ্ডকাপালিক ইত্যাদি মহাসিদ্ধ ব্যক্তি সকল হঠযোগ-প্রভাবে যম-দণ্ডকে খণ্ডন করিয়া ব্রহ্মাণ্ড মধ্যে বিচরণ করছেন।

Ancient Hindu temples located in Barisha locality of Kolkata dedicated to God Shiva. The cluster of 12 temples were built in athchala style by Raja Santosh Ray Chowdhury over 300 years ago.

অখণ্ড ভারতের পূর্বাংশ ছাড়াও পশ্চিমাংশের নানা স্থানে গোরক্ষনাথ খ্যাত হয়ে আছেন। পেশোয়ারে একটি গোরক্ষক্ষেত্র নামক স্থান আছে। আবুল ফজল নিজের গ্রন্থে সে কথা উল্লেখ করে গেছেন। দ্বারকা সন্নিধানে গোরক্ষক্ষেত্র এবং হরিদ্বারে একটি সুড়ঙ্গ বিদ্যমান আছে, উভয়েই নাথ , তথা শৈব তথা সমগ্র সনাতনীদের নিকট বিশেষ তীর্থ স্থান। নেপালের পশুপতিনাথ প্রভৃতি মন্দির সমুদায়ও শৈব তথা নাথ যোগী সংক্রান্ত। কলকাতা দমদমের নিকটে গোরখবাসলী মন্দিরটি এক্ষেত্রে উল্লেখ্য। মন্দিরে তিনজন যোগী মূর্তি এবং মহাদেব, মহাকালী এবং পবনপুত্রাদির মূর্তি বিদ্যমান রয়েছে। মন্দিরে প্রথমোক্ত তিনটি যোগী মূর্তি : দত্তাত্রেয়, গোরক্ষনাথ ও মৎস্যেন্দ্রনাথের মূর্তি বলে জানা যায়। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে মহানাদ , কামারপুকুর , সিদ্ধকুণ্ড এবং কলকাতা চৌরঙ্গী , কালীঘাট ইত্যাদি অঞ্চল ব্যাপক ভাবে নাথ প্রভাবাধীন ছিল।

উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর নাথ যোগীদের প্রধান স্থান। এখানে প্রথম স্থাপিত মন্দিরটি আলাউদ্দিন খিলজী ভ্রষ্ট করে এবং বৈদেশিক সাম্রাজ্যবাদী মরুধর্ম নির্মাণ করে। কিছুকাল পরে পুনরায় ওই স্থানের নিকটবর্তী স্থানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়। গোঁড়া আওরঙ্গজেব তাও নষ্ট করে পুনরায় সাম্রাজ্যবাদী বৈদেশিক মরুধর্ম নির্মাণ করে। কিন্তু বুদ্ধনাথ পুনশ্চ মন্দির নির্মাণ করেন এবং সেই মন্দির আজও বর্তমান। মন্দিরের দক্ষিণে শিবাতার রামভক্ত চিরঞ্জীবী হনুমান এবং পশুপতিনাথ মহাদেবের মন্দির বিদ্যমান।

Sribati Temple Complex (Left: Bishwashwar, Centre: Bholanath Right: Chandaneshwar)

গোরক্ষনাথজাত নাথযোগীরাই কণফট্ যোগী নামে পরিচিত। কণফট্ যোগীগণের দুই কর্ণে দুইটি বৃহৎ ছিদ্র থাকে। কাণ অর্থাৎ কর্ণ এবং ফট্ অর্থ ছিদ্র ,তাই এনারা কণফট্ যোগী নামে পরিচিত। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজীও একজন নাথ মার্গীয় কণফট্ যোগী। উক্ত যোগীগণের কর্ণে ছিদ্র করে বড় কুন্ডল সন্নিবেশিত হয়। সেই কুণ্ডল পাথর, বেলোয়ার বা গণ্ডার শৃঙ্গ দ্বারা নির্মিত হয়। দীক্ষা গ্ৰহণকালে কুন্ডলটি গ্ৰহণ করেন। এটি শিবের কুণ্ডল বলে বিশ্বাস। এই কুন্ডলকে মুদ্রা বলা হয়, এর ওপর একটি নাম দর্শন। তাই নাথ কণফট্ যোগীদের অপর নাম দর্শনীযোগী।

এই কুন্ডল ছাড়াও তাঁরা দুই তিন আঙ্গুলি- প্রমাণ একটি কৃষ্ণবর্ণ সামগ্রী একরূপ ঔর্ণসূত্রের মালায় বন্ধন করে গলদেশে ধারণ করেন। এই বস্তুটিকে নাদ বলে এবং যে সূত্র- মালায় ঐটি গ্রথিত হয় তাকে সেলি বলা হয়। কোন উদাসীনের গলদেশে উভয় লম্বিত দেখলেই তাকে যোগী বলে চিহ্নিত করা যায়। এনারা শৈবধর্মের নিয়মানুসারে গৈরিক বস্ত্র পরিধান করেন । কোন ক্ষেত্রে মস্তকে জটা ধারণ করেন, কোন ক্ষেত্রে মস্তক-মুণ্ডন করেন, কোন ক্ষেত্রে ললাটে বিভূতি দিয়ে ত্রিপুন্ড্র করে থাকেন ।

108 Shiva temple, Kalna, Bardhaman district, West Bengal

সমস্ত সন্ন্যাসীদের এনাদেরও গুরু স্বীকার করতে হয়। বিভিন্ন গুরুর বিভিন্ন রকমের নিয়ম থাকে। কোন গুরু-শিষ্যের মস্তক-মুণ্ডন করেন , কেউ জটা রাখতে বলেন। তবে নাথ যোগী সম্প্রদায় কর্ণযুগল ছিদ্র করা এবং গলায় নাদ ধারণ করা আবশ্যক । ভিন্ন ভিন্ন গুরু-শিষ্যের দীক্ষা ও সাধন সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়া সম্পাদন করে দেন ।

ভারতবর্ষের পশ্চিমোত্তর খণ্ডের নানা স্থানে বহু সংখ্যক কণফট্ যোগী দেখতে পাওয়া যায়। এঁরা শিব মন্দির বিশেষে শিবপূজার কার্যে নিযুক্ত থাকেন। স্থান- বিশেষে একত্র অবস্থান করে কালক্ষেপ করেন অথবা তীর্থ পর্যটন উদ্দেশ্যে দেশ দেশান্তর ভ্রমণ করেন । প্রয়োজনে এনারা শাসকের মানদণ্ড হাতে নিতে পারেন।

উদাসীন-যোগী সমুদায় দার- পরিগ্রহ করে গৃহশ্রমে প্রবৃত্ত হন না বটে কিন্তু অনেকেই বিস্তৃত ব্যাপারে ব্যাপৃত হয়ে থাকেন। ত্রিবেণী ( হুগলী জেলা, পশ্চিমবঙ্গ) প্রায় চার ক্রোশ পশ্চিমে মহানাদ গ্রাম আছে। এখানে নাথ কণফট্ যোগী সম্প্রদায়ের একটি যোগীরাজার নিবাস আছে। তিনি বিস্তর ভূমি এবং অন্য নানা সম্পত্তির অধিকারী। তাঁর অনেকগুলি শিষ্য থাকে এবং মৃত্যুকালে তার মধ্যে একজনকে এসবের বিষয়ে উত্তরাধিকারী করে যান। এইরূপে ওই যোগীরাজার প্রণালী চলে আসছে। তাঁরা সেই স্থলে জটেশ্বর নামে শিবের পূজা করেন এবং বশিষ্ঠ – গঙ্গা নামে একটি জলাশয় আছে , তাকেও প্রকৃত গঙ্গার ন্যায় মান্য করা হয়ে থাকে।

বশিষ্ঠ গঙ্গা এবং শিব স্থাপনাদি নিয়ে একটি কিংবদন্তি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মহানাদ যুগযুগান্তর ধরে প্রচলিত আছে। কোনো এক সময় এক দক্ষিণাবর্ত মহাশঙ্খ এই গ্রামে পতিত হয়েছিল। বায়ু তার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ এবং বাহির হবার নিমিত্ত প্রচন্ড শব্দ বা মহানাদের উৎপত্তি হয়। সেই শব্দব্রহ্ম শ্রবণ করে দেবতাগণ উপস্থিত হন এবং জটেশ্বর শিব ও বশিষ্ঠ গঙ্গা অশ্বগন্ধা প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণাবর্ত মহাশঙ্খ হতে
মহানাদ উৎপত্তি হয়েছিল বলে ওই স্থানের নাম #মহানাদ হয়েছে ।

MAHANAD, a small village in Hooghly district under Polba police station, very near of our holly place Tarakeshwar, not so far from our state capital., Kolkata . One can easily reach Mahanad Bus stand by road [ Delhi road ] ,only 75 KM away from central Kolkata or by local railway –Howrah –Burdwan main line- by trekker or bus after get down at Mogra or Pandua or Chinchura or Bandel station. Near Mahanad Bus stand , there is a lord shiva temple named JATESWARNATH SHIVA TEMPLE.
MAHANAD, a small village in Hooghly district under Polba police station, very near of our holly place Tarakeshwar, not so far from our state capital., Kolkata . One can easily reach Mahanad Bus stand by road [ Delhi road ] ,only 75 KM away from central Kolkata or by local railway –Howrah –Burdwan main line- by trekker or bus after get down at Mogra or Pandua or Chinchura or Bandel station. Near Mahanad Bus stand , there is a lord shiva temple named JATESWARNATH SHIVA TEMPLE.

রাজস্থানের অন্তঃপাতী মেওয়ার অঞ্চলস্থ #একলিঙ্গ নামক শিবের গোস্বামীরা কারো দার-পরিগ্রহ করে না । তাঁরা বাণিজ্য বিষয় , ব্যাপারে লিপ্ত হন। তবে তাঁরা যোদ্ধাও বটে। তাঁদের অধীনস্থ শত শত কণফট্ যোগী প্রয়োজনে ধর্ম ও দেশ রক্ষার্থে দলবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করতে প্রবৃত্ত হন সে কথা আমরা রাজস্থানের ইতিহাস পড়লেই জানতে পারি । ইতিহাসে এনারা একলিঙ্গ-জী-দেওয়ান নামে পরিচিত।

SIDDHESHVARA TEMPLE BARAKAR WEST BENGAL, LYING IN RUINS

গিরি, পুরি প্রভৃতি যেমন দশনামী সন্ন্যাসীদের উপাধি সেইরূপ কণফট্ প্রভৃতি যোগীদের উপাধি নাথ ,যেমন- আদিনাথ , চন্দ্রনাথ, গোরক্ষনাথ ইত্যাদি। যাঁরা সর্বতোভাবে যোগসিদ্ধ হন , তাঁদের সিদ্ধযোগী বলা হয়।সমুদায়ে যে চৌরাশিজন সিদ্ধযোগীর নাম পরিগণিত হয়, তাঁদের অতিরিক্ত আরো বহু ব্যক্তি ঐরূপ যোগসিদ্ধ হয়েছেন। তার মধ্যে অনেকে আজও অবনীমণ্ডলে বিচরণ করছেন।

এবার বলব একে একে বলব গোরখ্ বিজয় কাহিনী এবং উক্ত কারণগুলি ছাড়াও কেন গোরক্ষনাথের পূজা , ব্রতও একপ্রকার শিব পূজা?

ক্রমশঃ

©দুর্গেশনন্দিনী

তথ্যঋণ স্বীকার : ১. নাথ সম্প্রদায়ের ইতিহাস

২. উত্তরবঙ্গে গোরক্ষনাথের গান

৩. শ্রী শিবগোপাল দেবশর্মা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.