বর্দ্ধমান – দেবগ্রাম ও বিক্রমপুরের কিছু কথা

পঞ্চম পর্ব

বর্তমান বিক্রমপুর গ্রাম পূর্ব্ব পর্বোক্ত  দেবগ্রামের ৪ মাইল দক্ষিণে ও সোণাডাঙ্গা হতে ১ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। রেনেল সাহেবের প্রাচীন মানচিত্রে এই বিক্রমপুরের উল্লেখ আছে।  এই বিক্রমপুর প্রাচীন ।বিক্রমপুরের অংশমাত্র। এখানকার জমিদারের কাগজ হতে জানা যায় যে , পার্শ্ববর্তী বরগাছী , কালীনগর, বিক্রমপুর হাট ( বর্তমান বিক্রমপুর হতে ১ মাইল উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত), বিক্রমপুরকুঠী প্রভৃতি স্থান বিক্রমপুর মৌজার ই অন্তর্গত ছিল। দেবগ্রাম পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গেলগ্রামের দক্ষিণে যে জোল বা নিম্নভূমি আছে , বিক্রমপুরের উত্তরপূর্ব সীমা ততদূর বিস্তৃত। 

বিক্রমপুরে জাঙ্গীর খাল বলে একটি খাল আছে। সেই খাল দিয়ে পূর্ব্বে ভাগীরথীর স্রোত প্রবাহিত হত। বর্তমান বিক্রমপুর গাঁয়ে একটি বড় মাঠ আছে। তার নাম  জিতের মাঠ। এস্থানে জিতের পুষ্করিণী নামক একটি সুপ্রাচীন এবং বৃহৎ পুষ্করিণী আছে। এমন কিংবদন্তি আছে যে , উক্ত জিতের মাঠে প্রাচীনকালে নাকি কোনো সমৃদ্ধ শহর ছিল। পুষ্করিণীর নিকটবর্তী স্থানে মৃত্তিকা এখনও লোকবাসের যথেষ্ঠ নিদর্শন প্ৰাপ্তি ঘটে। এখানে অল্প মাটি খুঁড়লেই প্রাচীন লৌহমল , ভগ্ন মৃত্তিকা পাত্র , কুমারের সাজ ইত্যাদি প্রাপ্তি ঘটে। 


এই স্থান অবলোকন করলেই মনে হবে যে, বিলুপ্ত শহরের কতকটা পূর্ব্ব দিয়ে এক সময়ের ভাগীরথী প্রবাহিত ছিলেন। সম্ভবতঃ এই স্থানের প্রাচীন কীর্তিরাশির অধিকাংশই ভাগীরথীর তরঙ্গে বিলুপ্ত হয়েছে। 
বর্তমান বিক্রমপুর গ্রামে ষষ্ঠীতলায় কয়েকখণ্ড প্রস্তর পড়ে আছে। তার মধ্যে একটিতে সামান্য খোদাই পাওয়া যায়। সাঁওতার বল্লাল সেনের ভিটা হতে যেরূপ প্রস্তর প্রাপ্ত হয়েছে এই পাথর গুলি অনেকটা সেই রকম।  নিকটবর্তী গবীপুরে প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। প্রবাদ আছে – এস্থলে পুরাকালে কোনো একরাজার গৃহ ছিল।


বিক্রমপুরের পার্শ্ববর্তী  সেনপুর ও ঘুনীর মধ্যে অতিপ্রাচীন #ট্যাংড়ার_পুষ্করিণী আছে। প্রবাদ আছে এটি বল্লাল সেনের প্রতিষ্ঠিত। 


বল্লালসেনের জাঙ্গালের কথা আমি গত পর্বে লিখেছি। তা সাঁওতা হতে আরম্ভ হয়ে এই বিক্রমপুরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।


পূর্ব্বেই রামচরিতের প্রমাণ উদ্ধৃত করে দেখিয়েছি যে গৌরাধিপ রামপালের সময় বিক্রম নামে এক পরাক্রান্ত রাজা দেবগ্রাম – প্রতিবদ্ধ- তরঙ্গবহল- বালবলভী প্রদেশের অধিপতি ছিলেন। বর্তমান বিক্রমপুর গ্রামের প্রায় তিন ক্রোশ দূরে অগ্রদ্বীপে কিংবদন্তি আছে যে, বিক্রম নামে এক রাজা প্রত্যহ অগ্রদ্বীপে এসে গঙ্গাস্নান করতেন। 


১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে J.C.Peterson রচিত Burdwan District Gazetteer – এ , সাহেব উজানীকে রাজপুতানায় কিভাবে নিয়ে গিয়ে ফেলেছেন তা আমার জানা নেই। বর্দ্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অধীন উজানী – মঙ্গলকোটের বিক্রমাদিত্য বা বিক্রমজিৎই উক্ত প্রবাদের নায়ক ছিলেন। শিয়ানের রাজা শ্বেতবসন্ত মঙ্গলকোটের শ্বেতরাজার বংশধর। এই শ্বেতরাজাই অন্যতম বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত। বীরভূমের বক্রেশ্বর তীর্থ মঙ্গলকোট বা উজনীর শ্বেতরাজারই প্রতিষ্ঠিত।  এই শ্বেতরাজা ও তাঁর রাজত্ব নিয়ে আমি পূর্বে একটি প্রবন্ধ #শ্বেতরাজার_গড়_মুলুক_ঘুরে_ইতিহাসের_পাতায়_এলেম_ফিরে – বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 


পূর্ব্বেই লিখেছি যে দেবগ্রাম এবং বিক্রমপুর উভয়েই কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত ছিল। বিক্রমপুর ও দেবগ্রামের প্রাচীন ভূসংস্থান ও ভাগীরথীর গতি হতে বেশ মনে হয় যে , বর্তমান অগ্রদ্বীপের ন্যায় দেবগ্রাম ও বিক্রমপুর কতকটা এক সময়ে ভাগীরথীর পশ্চিমে অর্থাৎ রাঢ়দেশের মধ্যে ও কতকটা বাগড়ীর মধ্যে ছিল। দেবগ্রাম ও বিক্রমপুর হতে মঙ্গলকোট পর্যন্ত প্রায় ১২ ক্রোশ ভূভাগ বিক্রম নামক নৃপতির শাসনাধীন থাকা কিছু বিচিত্র নয়। 


দেবগ্রাম প্রতিবদ্ধ বালবলভীপতি বিক্রমরাজই সম্ভবতঃ উজানী  – মঙ্গলকোট , অগ্রদ্বীপ প্রভৃতি স্থানের প্রবাদে বিক্রমকেশরী, বিক্রমাদিত্য, বিক্রমজিৎ ইত্যাদি নামে পরিচিত হয়েছেন। বর্তমানে বিক্রমপুরের নিকট যে জিতের মাঠ এবং পুষ্করিণী বিদ্যমান তা, বিক্রমজিতের মাঠ বা পুষ্করিণীর অপভ্ৰংশ বলে অনুমান করা হয়। এর নিকট যে সুপ্রাচীন বিক্রমপুর শহর ছিল , তা যে বিক্রমাদিত্য প্রতিষ্ঠিত এবং তাঁর নামানুসারেই বিক্রমপুর নামে অভিহিত , তাও অসম্ভব নয়। 


নব আবিষ্কৃত বিজয়সেনের একটি তাম্রশাসনে লিখিত আছে যে , তিনি বিক্রমপুরের প্রাসাদ হতে #শাসন প্রদান করছেন। বল্লালসেনের সীতাহাটী তাম্রশাসনে তৎপিতা বিজয়সেনের পরিচয় প্রসঙ্গে নিবদ্ধ হয়েছে- 
তস্মাদভূদখিলাপার্থিবচক্রবর্তী নির্ব্যাজবিক্রমাদিত্যরস্কৃত – সাহসাঙ্কঃ ।

দিকপালচক্রপুটভেদগীতকীর্ত্তিঃ পৃথ্বীপতিবিজয়সেনপদপ্রকাশঃ।।
অর্থাৎ , হেমন্তসেন হতে অখিল পার্থিব চক্রবর্ত্তী পৃথ্বীপতি বিজয়সেন জন্মগ্রহণ করেন। অকপট বিক্রমে সাহসাঙ্ক অর্থাৎ বিক্রমাদিত্যও যাঁর নিকট লজ্জিত সেই দিক্ পালচক্র নগরেও তাঁর কীর্তি গীত হত। 
বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস গ্রন্থ হতে জানা যায় , একে একে পালরাজাগণের সামন্তচক্র নষ্ট করেই মহারাজ বিজয়সেনের উত্থান ঘটে। 


রামচরিতে দেবগ্রাম বালবলভীপতি বিক্রমরাজও এক জন অভিবিক্রমশালী নৃপতি ছিলেন বলেই সম্ভবত  প্রশস্তিকার ভারতপ্রসিদ্ধ বিক্রমাদিত্যের সঙ্গে তুল্যজ্ঞান করে #সাহসাঙ্ক বলে অভিহিত করেছেন। প্রসঙ্গত জটাধরের সুপ্রাচীন সংস্কৃত কোষ অভিধান তন্ত্রে সাহসাঙ্ক বিক্রমাদিত্যের নামান্তর বা পর্যায় বলেই ব্যাখ্যা প্রাপ্ত হয়েছে। 


এই পরাক্রমশালী রাজা বিক্রমশালী নৃপতিরাজকে পরে বিজয়সেন পরাজিত করেন। কারণ বিজয়সেনের প্রশস্তিতে সম্বলিত তাম্রশাসন বিক্রমপুরের রাজবাটী হতে প্রদত্ত হয়েছিল। বল্লালসেনের তাম্রশাসনে #দিকপালচক্রপুটভেদগীতকীর্ত্তিঃ প্রসঙ্গে সেই আভাসই প্রদান করা হয়েছে। 


বর্তমান বিক্রমপুর গ্রাম হতে বেশ কিছু ক্রোশ দূরে পশ্চিমে অবস্থিত সীতাহাটী গ্রামে ভূমি খননকালে বল্লালসেনের তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়। বল্লালসেন এই তাম্র লিখে যে ভূভাগ প্রদান করেছিলেন। সেই সমস্ত ভূভাগ সীতাহাটী হতে অধিক দূরে নয়। এই তাম্রশাসনে লিখিত আছে – 
প্রৌঢ়াং রাঢ়ামকলিতচরৈর্ভূবয়স্তোহনুভাবৈঃ
অর্থাৎ, যে সেন বংশ প্রৌঢ় রাঢ়দেশকে অতুল প্রভাব দ্বারা ভূষিত করেছিল।


বল্লাল সেনের তাম্রশাসন হতেই অনুমান করা যায় যে, রাঢ়দেশেই সেনবংশের পূর্ব্ব বা প্রথম বাস ছিল। এই তাম্রশাসনখানি #শ্ৰীবিক্রমপুরসমাবাসিতশ্ৰীমজ্জরস্কন্ধাবার হতেই প্রদত্ত হয়েছিল। 
পূর্ব্ব বর্ণিত বল্লালের ভিটা, বল্লালের ভিটা, বল্লালের দীঘি, বল্লালের জাঙ্গাল সম্বন্ধীয় প্রবাদ এবং দেবগ্রাম বিক্রমপুরের অবস্থান হতে মনে হয় যে, বল্লালসেনের সীতাহাটী তাম্রশাসন বর্ণিত বিক্রমপুরজয়স্কন্ধাবার দেবগ্রাম বিক্রমপুরের মধ্যেই ছিল। 


চারশত বৎসর পূর্ব্বে রচিত আনন্দভট্টের বল্লালচরিতেও লিখিত আছে – বল্লাল সেন কখনো গৌড়ে , কখনো বিক্রমপুরে এবং কখনো স্বর্ণ বা সুবর্ণগ্রামে অবস্থান করতেন।

 
বসতিস্ম নৃপঃ শ্রীমান্ পুরা গৌড়ে পুরোত্তমে।কদাচিম্বা যথাকামং নগরে বিক্রমে পুরে।

স্বর্ণগ্রামে কদাচিম্বা প্রাসাঙ্গে সুমনোহরে।রমমাণঃ সহ স্ত্রীভির্দিবীব ত্রিদিবেশ্বরঃ ।। – বল্লালচরিত


চারশত বৎসর প্রাচীন এই প্রবাদ বাক্য হতেও উপলব্ধি হয় যে, বরেন্দ্রের গৌড় নগরে , রাঢ়দেশে বা তন্নিকটে অবস্থিত বিক্রমপুরে এবং বঙ্গের সুবর্ণগ্রামে বল্লাল সেন রাজকার্যোপলক্ষে  সময় সময় অবস্থান করতেন। বঙ্গের যেথায় যেথায় একসময় সনাতন সগর্বে হুঙ্কার করত , সেথায় সেথায় আজ বৈদেশিক দমন পীড়ন দেখা যায়। বতর্মান বিক্রমপুর মৌজারও একই অবস্থা । কেবল ভাগীরথীর তরঙ্গাঘাত নয় ,বৈদেশিক হস্তেও সমুদয় সুপ্রাচীন কীর্তি বিনষ্ট ও বিধ্বস্ত হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। 


বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আনন্দমঠ উপন্যাসের অন্তিমে বলেছেন – ” জ্ঞান আসিয়া ভক্তিকে ধরিয়াছে , ধর্ম আসিয়া কর্মকে ধরেছে, বিসর্জন আসিয়া প্রতিষ্ঠাকে ধরিয়াছে। ” যুগ যুগ ধরে বহমান জীবনতরঙ্গ মানবসাগরতীরে আছড়ে পড়ছে , জন্ম হচ্ছে নব নব তরঙ্গমালার । অতীতের মৃত ফসিল কলনাদে মুখরিত হয়েছে। এই প্রবন্ধ সেই লুপ্ত প্রায় ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে জাগ্রত করার কিছু মাত্র প্রয়াস। নিজের দেশের সুপ্রাচীন ও সত্য ঐতিহ্য , ইতিহাসকে উন্মোচন করাও এক অন্যতম স্বদেশ ব্রত। সেই ব্রতই ধর্ম রূপে কর্মকে মুখরিত করুক। সেই আদি সনাতন যেন – 
রঙ যেন মোর মর্মে লাগে,   আমার সকল কর্মে লাগে,
সন্ধ্যাদীপের আগায় লাগে,   গভীর রাতের জাগায় লাগে॥


আলোচিত বর্দ্ধমান তথা রাঢ় ভুতত্ত্বের দিক থেকেও খুব প্রাচীন। প্রাগৈতিহাসিক এবং প্রত্নইতিহাসের দিক দিয়েও এই অঞ্চল অতিপ্রাচীন । দুর্গাপুরের পশ্চিম দামোদর তীরবর্তী এলাকা , বীরভানুপুর এবং পূর্বে পাণ্ডুরাজার ঢিবি  ও অজয় নদীর তীরবর্তী মঙ্গলকোট, দক্ষিণ দামোদরের কাইতি, উচালন এবং আসানসোল মহকুমার বরাকর প্রভৃতি এলাকায় প্রাপ্ত তাম্রশাসন , শিলালিপি , প্রস্তরমূর্তি , তাম্রশ্মীয় যুগের পুতুল, ফলক , বাসন কোসন, পোড়ামাটির দ্রব্য সামগ্রী, পোড়াচাল, ভাস্কর্য  ও প্রত্নসম্পদ হতে সেই  প্রাচীনতার সম্পর্কে অনুধাবন করা সম্ভব। 
বাঙ্গালী হিন্দু  কেবল প্রাচীন পুঁথি বা রাজকীয় নয় বরং  চক্ষের সুমুখে এবং হৃদয়ের মধ্যে বিস্তৃত ও বিচরমান। প্রাচীন অতীত আজকের মতোই আমাদের নিকট সত্য ও জীবন্ত। সেই সত্য জীবন্ত অতিতকেই ধরা আমাদের কর্ম হোক। সেই কর্মেই আমার সনাতন ধর্ম প্রকাশিত হোক। কর্ম করি ফলের আশা না করে। ফল ঈশ্বরই প্রদান করবেন। 
কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন ।

মা কর্মফলহেতুর্ভূমা তে সঙ্গোহস্ত্বকর্মণি ।।


পূজারীর নৈবেদ্যর মতো ভক্তিশ্রদ্ধা মিশ্রিত মন ও মননের নিঃসংকোচে প্রকাশ হোক ।
আমি অতি ক্ষুদ্রজীব পক্ষী রাঙা টুনি।

নাল্পে সুখমস্তি ,সুখ ভূমায় – ভূমৈব সুখম্ ।

আত্মাই ভূমা – আত্মানং বিদ্ধি।


ভারতের আদর্শ হল সভ্যতার আদর্শ । 
তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জিথা। ভারতের সভ্যতা বলে – 
ন বিত্তেন তর্পণীয় মনুষ্যাঃ 
একাধারে আদিম প্রকৃতির উপাসনা এবং বেদ উপনিষদের আদর্শে এই রাঢ়বঙ্গ। 
উপনিষদের প্রজ্ঞান তাকে দৃশ্যমান করেছে –
শোত্রস্য শোত্রং মনসো মনো যদ্ ।

বাচো হ বাচং স উ প্রাণস্য প্রাণঃ।।


রাঢ় সভ্যতা সাধনা সম্ভুত। রাঢ় সভ্যতা সংস্কৃতি উপনিষদের রসে পুষ্ট। মুকুন্দরামের চন্ডীমঙ্গল থেকে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পর্যন্ত সর্বত্র সেই বেদ ,উপনিষদের বাণীই ধ্বনিত হয়েছে। তাই রাঢ়ের অন্যতম স্থান বর্দ্ধমানও সেই সংস্কৃতির স্রোতধারায় পবিস্নাত।এরই নাম দেশ ধর্ম।

কিছু বই , নথি ইত্যাদি ঘেঁটে এই প্রবন্ধ রচনা। সুবিশাল ভারতের রাঢ়অঞ্চলের মতো এক প্রাচীন স্থানের ইতিহাস একটি মাত্র প্রবন্ধ মাধ্যমে প্রকাশ করা খুব কঠিন । নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি বাণীমূর্তি গঠন করলাম, ভবিষতে আরো করব।

সমাপ্ত
©দুর্গেশনন্দিনী
(প্রবন্ধটি ঋতম বাংলায় প্রকাশিত)

তথ্যঃ ১) বর্ধমান জেলার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি
২) বর্দ্ধমানের কথা : বর্দ্ধমানের পুরাকথা ও বর্তমান বর্দ্ধমান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.