একটি মেয়ে বিদ্যালয় যায় বিদ্যা অর্জন করতে, সেখানে সে যদি বিদ্যার দেবীকে সম্মান জানায় তাহলে আমাদের দেশে তাকে নোংরা অপমানের স্বীকার হতে হয়

সম্প্রতি বারাসাতের কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয় সাক্ষী থাকল এক সুন্দর ঘটনার। মেয়েদের এই স্কুলে বাণী বন্দনার কাজটাও পুরোপুরি করল মেয়েরাই। কোনো রকম পুরোহিত ছাড়াই সেখানে বাগদেবীর আরাধনা হল। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি সেনগুপ্ত জানান হিন্দু, মুসলিম, আদিবাসী ছাত্রী এবং খ্রিস্টান শিক্ষিকা সবার সমান অবদানে এই স্কুলে পালিত হয় সরস্বতী পুজা। এই বছর নবম শ্রেণীর ছাত্রী সামিহা হকের উচ্চারিত সরস্বতী বন্দনার স্তোত্র পাঠ দিয়েই সবাই পালন করল বাগদেবীর আরাধনা।

নিঃসন্দেহে এই ধরণের পদক্ষেপ প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু আমাদের সমাজ কি সত্যিই এই ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করার উপযুক্ত? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখে সেটা একেবারেই মনে হয়না। সেখানে মেয়েটিকে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় অপমান করা হয়েছে। মেয়েটি নাকি ধর্মচ্যুত হয়েছে, এই কাজ নাকি গর্হিত অপরাধ, অর্থাৎ মেয়েটি মুসলিম নামের কলঙ্ক। কেউ কেউ আবার এমনও দাবী করে বসল যে মেয়েটি পাগল, তাই সে মূর্তি পুজার মত একটি জঘন্য কাজ করল। একটি মেয়ে বিদ্যালয় যায় বিদ্যা অর্জন করতে, সেখানে সে যদি বিদ্যার দেবীকে সম্মান জানায় তাহলে আমাদের দেশে তাকে নোংরা অপমানের স্বীকার হতে হয়। অথচ মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া আমেরিকায় তাদের দূতাবাসে স্থাপন করেছে দেবী সরস্বতীর মূর্তি।

Satabdi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.