কর্ণাটকে আজ বি.এস ইয়েদুরাপ্পা নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন। তিনি জানান যে, তিনি রাজ্যপালের সাথে দেখা করে সরকার গড়ার দাবি পেশ করবেন। টানা ২১ দিন নাটক চলার পর মঙ্গলবার কর্ণাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যার্থ হয় কংগ্রেস-জেডিএস জোট। মঙ্গলবারের আস্থা ভোটে কর্ণাটক বিধানসভায় জোট সরকারের পক্ষে ৯৯ এবং বিজেপির পক্ষে ১০৫ টি ভোট পড়ে।
কর্ণাটক বিধানসভায় হওয়া ফ্লোর টেস্টে ভারতীয় জনতা পার্টি ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে নেয়, বিজেপির আসন সংখ্যা কর্ণাটকে নতুন করে সরকার বাননোর জন্য যথেষ্ট। ফ্লোর টেস্টে কুমারস্বামীর সরকার ৯৯ টি ভোট পায়। এবং রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি ১০৫ টি ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল করে নেয়।
ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য মন্ত্রীমণ্ডল তৈরি করা মুশকিল হয়ে পড়বে। ৩৪ বিধায়ককে ক্যাবিনেটে যায়গা দেওয়া হবে। তবে মন্ত্রী পদের জন্য বিজেপির প্রায় ৬০ জন বিধায়ক দাবিবার। এছাড়াও জোট সরকারের ১০ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদেরও মন্ত্রীমণ্ডলে যায়গা দিতে হবে। আর এর জন্য দলের সিনিয়র নেতারা একটু নাখুশ হতেই পারে।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বিধানসভার স্পীকার কে.আর রমেশ তিন কংগ্রেস বিধায়ককে দল বদল আইন অনুযায়ী অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। এবার কংগ্রেসের ওই তিন বিধায়ক ২০২৩ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।
কর্ণাটকে কংগ্রেস – জেডিএস জোট সরকার ১১৬ জন বিধায়ক নিয়ে ১৪ মাস সরকার চালায়। ১লা জুলাই কংগ্রেসের দুই বিধায়কের ইস্তফার পর বিগত ২৩ দিন ধরে কর্ণাটকে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। রাজ্যের মোট ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফার পর ১৮ই জুলাই ফ্লোর টেস্টের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু বার বার হাঙ্গামার জন্য ফ্লোর টেস্ট হচ্ছিল না। গত মঙ্গলবার ফ্লোর টেস্টে হেরে গিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ.ডি কুমারস্বামী ইস্তফা দেন।