করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার করোনার দ্বিতীয় সুনামির ইঙ্গিত দিয়েছে। সব মিলিয়ে মোটেও স্বস্তিতে নেই কেন্দ্র। এই অবস্থায় দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় লকডাউন। দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নতুন করে লকডাউন জারি করা হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে বলে খবর। পরিস্থিতি বিচার করে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বক্তব্য শুনবেন তিনি। এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মোদী বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য নাইট কার্ফু জারি করা সহ একাধিক কড়াকড়ি বলবৎ করেছে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, যে সব শহরে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে, সেখানে জারি করা হতে পারে লকডাউন। লকডাউনের নিয়ম জারি করার পাশাপাশি, নাইট কার্ফু, বিয়ে-শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে ১০০ জন নিমন্ত্রিত থাকা, প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি ইত্যাদি নিয়মও জারি হবে বলে খবর। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য এই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজস্থানের ৮ জেলায় নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজস্থানের জয়পুর, যোধপুর, কোটা, বিকানির, উদয়পুর, আজমেড়, আলওয়ার, ভিলওয়ারা জেলায় নাইট কার্ফু জারি করেছে অশোক গেহলটের সরকার। এই জেলাগুলিতে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লকডাউন নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এই শহরে জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে পাঁচটি শহরে জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দোর, ভোপাল, রতলাম, গোয়ালিয়র ও বিদিশা।
এদিকে, দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যহত। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৯ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫১১ জনের। নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৬৬ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৩৮।
মোট আক্রান্তের মধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৮৬। করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৮৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৪২ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজারের বেশি মানুষ।