শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে এবার ফ্রন্টফুটেই খেলা শুরু করল বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তৃণমূল কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় গেরুয়া শিবির যাতে কোনওভাবেই চাপে না পড়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে পালটা আক্রমণের পথে হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কল্যাণীর সভায় শীতলকুচির ঘটনার জন্য পরোক্ষে তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার পর বারাসতে দাঁড়িয়ে মোদি প্রশ্ন তুললেন, রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা কেন বলেন না মমতা? কেন হিংসায় অভিযুক্তদের শাস্তি চান না তিনি? প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ ঘটেছে মমতার।
কল্যাণীর সভার সুর টেনেই বারাসতে মোদি দাবি করলেন, “আদিবাসী, এসসি-এসটিদের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মমতা। মমতা এঁদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চান।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই রাজ্যের ভোটে হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছেন মমতা। সমবেত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, কখনও শুনেছেন মমতাকে শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলতে? কখনও শুনেছেন রেকর্ড হারে ভোটদানের কথা বলতে?” মোদির দাবি,”দিদি চান না বেশি ভোট পড়ুক। কারণ দিদি জানেন এত বেশি ভোট বিজেপির পক্ষে হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, “এরাজ্যের ভোটে যা যা চলছে, সব দিদির চোখের সামনে হচ্ছে। দিদি দেখেশুনেও চুপচাপ।” তাঁর প্রশ্ন, ভোটের এই হিংসা কার ইশারায়? কখন হয়? কীভাবে হয়? মোদির দাবি, “যে কোনও মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চান মমতা। একজন মুখ্যমন্ত্রী কখনও এসব কথা বলতে পারেন না। এখানে মমতা হিংসা ছড়াতে চাইছেন, অশান্তি চাইছেন। পঞ্চায়েতের মতোই এই ভোটেও অশান্তি ছড়াতে চাইছেন। আপনার সব ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ বানচাল করে দেবে।”
বারাসতের সভায় আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন,”মমতা বাংলার যুবকদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুটোই বরবাদ করছেন শুধু নিজের ভাইপোর ভবিষ্যৎ ঠিক করতে। দিদির জন্য শুধু ভাইপোই কি সব?” বারাসতে দাঁড়িয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আলাদা করে টার্গেট করলেন মোদি। বলে দিলেন, “যিনি গরিবের অন্য চুরি করেছেন, সেই চালচোর যেন কোনওভাবেই বিধানসভায় না যায়।”