ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের পদত্যাগের পরে উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে বুধবার বৈঠক ডাকল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। খুব সম্ভবত সকাল ১০ টায় এই বৈঠক শুরু হতে চলেছে।
চারদিন চূড়ান্ত রাজনৈতিক টানাপোড়নের পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। আপাতত সূত্রের খবর, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভারই কোনও সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারেন। এক্ষেত্রে উঠে আসছে ধ্যান সিং রাওয়তের নাম।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, “দল আমায় চার বছর রাজ্যকে সেবা করার সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে। আমি কোনওদিন এমনটা ভাবিনি। পার্টি এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ।” উল্লেখ্য, ধ্যান সিং রাওয়ত ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাংসদ অনিল বালুনি, পর্যটন মন্ত্রী সতপাল মহারাজ সহ আরও বেশ কয়েজন হেভিওয়েট নেতার নাম উঠে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত। তিনি বলেন, “ক্ষমতার যে পরিবর্তন হচ্ছে তা আমি দেখতে পাচ্ছি। এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও স্বীকার করে নিয়েছে যে রাজ্যে তাঁদের বর্তমান সরকার বেশি কিছু করতে পারেনি। যাকেই এখন আনা হোক, ২০২২ সালে ওরা (বিজেপি) আর ক্ষমতায় আসছে না।” তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে ও রাজ্যের দুর্নীতি আড়াল করার একটি ব্যর্থ চেষ্টা করছে।”
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়ত। অভিযোগ, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের বিধায়কদের থেকে অভিযোগ পেয়েছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর পারফর্ম্য়ান্স ভালো নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কারণে ফেব্রুয়রি মাসে আসন্ন নির্বাচনে হেরে যেতে পারে দল। সেই কারণেই হয়তো এই পরিবর্তন হচ্ছে।
শোনা গিয়েছে বেশিরভাগ বিধায়কই বলেছেন ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়তের নেতৃত্বে বিজেপির ফের ক্ষমতার আসার সম্ভবনা নেই। সম্ভবত সেই কথাই জানানো হয় রাওয়তকে। মনে করা হচ্ছে এরপরই তিনি ইস্তফা দেন।