বাংলায় বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তা নিয়ে চর্চা বেড়েই চলেছ৷ দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়- উঠে এসেছিল একের পর এক নাম৷ যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন এ রাজ্যে বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷
বিজেপি নেতা বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ভোটের আগে কাউকেই তুলে ধরবে না বিজেপি৷ ভোটের আগে বিজেপি-র মুখ নরেন্দ্র মোদিই৷ তিনি জানিয়েছেন, যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি ক্ষমতায় নেই, সেখানে কখনওই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হয় না৷
কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, নির্বাচনের পর বিজেপি ক্ষমতায় এলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং নির্বাচিত বিধায়করা মিলেই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা ঠিক করবেন৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী যেই হোন না কেন, উন্নত বাংলা উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি নেতা৷
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোটের আগে কোনও একজন নেতার নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে দিলে দলের মধ্যেই কোন্দল সৃষ্টি হতে পারে৷ যাঁদের নাম বাদ পড়বে, সেই নেতারা মনে মনে আঘাত পেয়ে দলের ক্ষতি হতে পারে৷ যার ফলে মোদি ম্যাজিকে আস্থা রেখেই পশ্চিমবঙ্গে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি৷
গত ২০ ডিসেম্বর রাজ্যে এসে অমিত শাহ মন্তব্য করেন, বাংলার কোনও ভূমিপুত্রকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে৷ সদ্য শুভেন্দু অধিকারী দলে যোগ দেওয়ার পর অমিত শাহের এই মন্তব্যে জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল৷ একই সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও চর্চা জোরাল হয়৷
অন্যদিকে দিন কয়েক আগে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মন্তব্য করেন, বিজেপি জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন দিলীপ ঘোষ৷ যে মন্তব্যকে ভাল ভাবে নেয়নি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ সৌমিত্র খাঁ-কে সতর্ক করে দেয় দল৷ রাজ্য নেতাদেরও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে যাবতীয় জল্পনায় ইতি টেনে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে৷
যদিও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কটাক্ষ করে বলেছেন, আসলে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী করার মতো যোগ্য কোনও নেতাকেই খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি৷ তাই বাইরে থেকে এতজন নেতাকে নিয়ে আসতে হচ্ছে৷