আজ শেষ লগ্নে প্রচারে নন্দীগ্রামে মুখোমুখি দুই সেনাপতি। আজই নন্দীগ্রামে শেষ প্রচার। সেই প্রচারে আজ হাজির থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামে আজ শেষ দিনের প্রচারে হাজির থাকার কথা সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। গোটা নন্দীগ্রাম জুড়েই আজ শেষ দিনের প্রচার কর্মসূচী জুড়ে তাই সরগরম গোটা নন্দীগ্রাম।
তবে অমিত শাহের আসার আগেই তৃণমূল ইতিমধ্যেই আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ’কে। তাদের বক্তব্য, অমিত শাহ জি হয়তো ভুলে গিয়েছেন, বাংলার মানুষ কিন্তু হাথরস, বলরামপুর, দিল্লির দাঙ্গা ও দেশজুড়ে বিজেপির অত্যাচারের কথা ভুলে যায়নি। এই ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ অমিত শাহ রোড শো করবেন নন্দীগ্রামে। এ দিন বেলা ১১টা থেকে রোড শো করবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভাঙাবেরা শহীদ বেদী থেকে সোনাচূড়া বাজার অবধি ৩ কিমি রাস্তা তিনি রোড শো করবেন। এছাড়া নন্দীগ্রামের তিন জায়গায় তিনটি সভা করবেন। নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকে সোনাচূড়ায় তিনি সভা করবেন। ভেকুটিয়ার বাঁশুলি চক লক গেটে সভা করবেন। ভেকুটিয়ার টেঙ্গুয়া মোড় ক্রসিংয়ে অপর একটি সভা করবেন। শেষ দিনের প্রচারে তাই ঝড় তুলছেন তিনি।
নন্দীগ্রামে জিততে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা তোপ দাগা শুরু করেছে বিজেপি শিবির। অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলের সঙ্গেই এ বার লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দোলের দিন বিকেল থেকেই নন্দীগ্রাম জুড়ে প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই তিনি লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন অধিকারী পরিবারের সদস্যদের। আর সেই সব আক্রমণের ফলে শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচন কমিশনে যাবেন তাঁদের পরিবারের নামে দূর্নাম করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগ নিয়েই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এক সময়ের দুই সহযোদ্ধাদের লড়াই এ বার একেবারে ব্যক্তিগত স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। যার ফলে একে অপরের দিকে এক সময়ের তথাকথিত গোপনে থাকা কথা তুলে আনছেন। তবে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এলে নন্দীগ্রামে সিএমও করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি নন্দীগ্রামে আন্দোলনের ভূমিকন্যার বাড়িও বানাবেন বলে জানিয়েছেন। আর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ব্যাপক প্রচার কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন তিনি৷ ফলে নন্দীগ্রামের দুই প্রান্তে দু’টি ভিন্ন সময়ে লাগাতার প্রচার সমাবেশ চালিয়ে যাবেন দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।