শক্তিশালী বিরোধী দরকার, জোট হোক তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসের, চাইছেন দিলীপ ঘোষও!

কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ত্রিপুরা গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সেখানে পৌঁছান ডেরেক ও’ ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাছাড়া সেখানে যেতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এই আবহে ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূলের তত্পরতাকে কটাক্ষ করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, ‘ত্রিপুরায় তো অস্তিত্ব নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। যাঁরাও বা সেরাজ্যে তৃণমূলে ছিলেন, তাঁরাও তো পরে বিজেপিরই হাত ধরেছে। আগে দলটা শুরু হোক তারপর রাজ্য দখল নিয়ে ভাববে না হয় ওরা।’

তৃণমূল কংগ্রেসকে তোপ দেগে দিলীপ আরও বলেন, ‘বাংলার বাইরে তৃণমূল কোথাওই নেই যে তারা এত লাফালাফি করছে? এইতো উনি গিয়েছিলেন দিল্লিতে। ওনার সঙ্গে কেউ চা খেতে পর্যন্ত যাননি। দেখাও করতে যাননি। সমস্যাটা ওনার। বাকিরা সবাই নিজের নিজের দল নিয়ে ব্যস্ত আছেন।’ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল আরও কেউ থাকলে এক হওয়া দরকার। একটা শক্তিশালী বিরোধী থাকা তো দরকার। কিন্তু সেটা সম্ভব কি?’

এরপর পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ২০১৯ সালের কথা মনে রাখা দরকার বিরোধীদের। জোট বেঁধেও হারার অভিজ্ঞতা তো রয়েছে তাঁদের। মানুষের প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর আস্থা রয়েছে। মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। তৈরি থাকলে আর কারও দরকার নেই।

এদিকে জাতীয় রাজনীতিতে দলের শক্তি বাড়াতে সোমবারই ত্রিপুরা যাচ্ছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিনে একের পর এক তৃণমূল নেতার ত্রিপুরায় আনাগোনা চলছে। বিপ্লব দেবের রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদার্পণের জন্য জমি তৈরি করা হচ্ছিল বলেই খবর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.