বিজেপি (BJP) নেত্রীর চুল ধরে টেনে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় স্বয়ং মণ্ডল সভাপতিই। ঘটনা কলকাতার কালিকাপুরের। রাজ্যে ভোটের আবহে (WB Assembly election) বিজেপি কার্যালয়ের ভিতরেই এই ঘটনায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ।
দলীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে কালিকাপুরে বিজেপির মণ্ডল কার্যালয়ে বৈঠক চলছিল। উপস্থিত ছিলেন মণ্ডলের সহ-সভানেত্রী রিনা টিকাদার। ছিলেন মণ্ডল সভাপতি অরিন্দম রায় ও মণ্ডলের অন্যান্য সদস্যরা। নির্বাচনী আলোচনা চলছিল সেখানে। অরিন্দম রায়ের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে রিনাদেবীর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কিন্তু সেই বচসা থেকেই আচমকা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, সেসময় রিনাদেবীর চুলের মুঠি ধরে, তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন অরিন্দমবাবু। এরপর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন রিনাদেবী।
তাতেই শোরগোল পড়ে যায়। খাস কলকাতায় (Kolkata) বিজেপির অন্দরে এই দ্বন্দ্বের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিরোধী শিবিরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনা। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা রিনা টিকাদার। সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিযুক্ত মণ্ডল সভাপতি অরিন্দম রায়। কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।
এমনিতেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছেই। বিজেপি থেকে যে মহিলা সদস্যরা বেরিয়ে এসেছেনস তাঁদের মুখেই এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে। বিজেপি নেতারা মহিলাদের সম্মান করেন না, এই অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁরা। এবার কলকাতাতেই এমন একটি ঘটনার খবর মিলল। খোদ মণ্ডল সভাপতির হাতেই নিগৃহীত হলেন সহ-সভানেত্রী। পাশাপাশি দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবিটাও প্রকাশ্যে চলে এল। ভোটের মুখে বিজেপির মণ্ডল কার্যালয়ের এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের মুখ পুড়ল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।