সোমবার রাজ্যে তিনটি সভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথমটি বর্ধমানের তালিত-এ। পরেরটি নদিয়ার কল্যাণী ও শেষেরটি বারাসতে। পঞ্চম দফার ভোটের আগে তুঙ্গে রয়েছে প্রচার। দেখে নিন, কল্যাণীর সভা থেকে কী বলছেন মোদী।
২.৩০ দিদির দুর্নীতি ও কুশাসনকে বদলাতে হবে। আপনার একটি ভোট পরিস্থিতির বদল আনবে। আপনার একটি ভোট কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যাবে ১৮ হাজার টাকা। গরীব কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা গেলে আপনার পূণ্য হবে। চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আপনার ভোট গরীব মানুষের ঘরে জল পৌঁছে দেবে। সেই জন্যই আপনার ভোটটা দিন। প্রতি বুথে পদ্ম ফোটাতে হবে। এই নিশ্চয়তা করুন।
২.২৬ পশ্চিমবঙ্গে সব কিছুতে কাটমানি লাগে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্যেই সিন্ডিকেট ও কাটমানি রাজ চলছে। বিজেপি-র ডবল ইঞ্জিন সরকার সব অনিয়ম বন্ধ করবে। কল্যাণীকে শিল্প শহর করা হবে, আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে। সংকল্প পত্রে এই কথা আছে। কল্যাণীকে মেট্রোতে যুক্ত করা হবে। এই কল্যাণীতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হবে। রাজ্যের গরীব মানুষের কাছে আয়ুষ্মান প্রকল্প পৌঁছতে দেননি মমতা। দিদির গরীব মানুষের প্রতি আপনার এত রাগ কিসের। গরীব মানুষের বুকে যে আগুন লেগেছে, তা আপনাকে ভষ্ম করে দেবে।
২.১৯ মোদী সরকার যে করতে চেয়েছে, তৃণমূল সরকার আটকেছে। কিন্তু এখন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সময়। বিজেপি সরকারের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন পৌঁছে গিয়েছে। আপনার প্রতিটি মিথ্যে কথা সবাই বুঝতে পারছে। মহিলাদে একাধিক কাজ করেছে বিজেপি। মুসলিম মহিলাদের তিন তালাকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়েছে। দেশের মা-বোনেদের জন্য কাজ করেছে বিজেপি, ২ তারিখের পর রাজ্যের জন্যও কাজ হবে।
২.১৪ আমার ওড়াকান্দিতে যাওয়া নিয়েও দিদি প্রশ্ন দাঁড় করেছিলেন। দিদি দশ বছরে দলিত মানুষদের জন্য কিছু করেননি। মতুয়াদের জন্য কিছু করেননি। এদের একপ্রকার অনুপ্রবেশকারীদের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আপনার তোষণের রাজনীতি এদের সর্বনাশ করেছে। বাংলার মানুষ আপনার থেকে এটা আশা করেনি। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, এখানে সব শরণার্থীদের সব সুবিধা দেওয়া হবে।
২.১০ দিদি হার দেখে নতুন যড়যন্ত্র, তফশিলি জাতির মানুষদের ভোট দিতে না দেওয়া। দলের লোককে দিয়ে ছাপ্পা দেওয়া। প্রকাশ্যে তৃণমূলের লোকেরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করবে, আর তৃণমূল ভিতরে ছাপ্পা দেবে। কোচবিহারে যা হয়েছে, তা দিদির ছাপ্পা ভোট মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।আম্বেদকর ও হরিচাঁদ ঠাকুরের ভাবনাকে আহত করার অধিকার আপনার নেই। দিদি, আপনার রাজনীতির থেকে বাংলার সম্মান অনেক বড়। সেটাকে অপমান করবেন না। ওড়াকান্দিতে পবিত্র জমিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। একজন আমায় বলেছিলেন, আমি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যে ওড়াকান্দিতে এসেছি। আমি বলেছিলাম, আমার সৌভাগ্য যে ওখানে আমি যেতে পেরেছিলাম।
২.০০ চারদফার নির্বাচনে তৃণমূলের সাফ হওয়া নিশ্চিত। দু’দিন পরেই বাংলায় পয়লা বৈশাখ। ওই দিন থেকেই দিদির সরকারের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। ২ মে, দিদি যাচ্ছেন। বিজেপি আসছে। দিদি ও তার দলের লোক সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন। দিদির নেতা প্রকাশ্যে তফশিলি জাতি, উপজাতির মানুষদের খারাপ কথা বলছেন। যতই ধমকাবেন, কিছু লাভ নেই, মোদীর জন্য তাঁদের স্নেহ কিছু কমবে না। আপনার দলের লোকেরা বাংলার তফশিলি জাতির মানুষদের ভিখারি বলে অপমান করতে পারে, কিন্তু বিজেপি-র জন্য তাঁদের মান সম্মান সবচেয়ে বেশি।
১.৫৭ কল্যাণীর মানুষকে নমষ্কার। মঙ্গল পাণ্ডেদের স্মরণ করলেন মোদী। আপনাদের সবার থেকে এত আশির্বাদ পাওয়া আমার কাছে ভাগ্যের। চারিদিকে বিজেপি-কে নিয়ে যা উৎসাহ, যা সংকল্প, আমার কাছে অভূতপূর্ব। সুকুমার রায়ের কবিতা উদ্ধৃত করলেন মোদী। তৃণমূলের কুশাসন থেকে মুক্তি পাবে মোদী। দিদির তোলবাজির সরকার থেকে মুক্তি পাবে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের মানুষ আর এই অপশাসন সহ্য করতে পারছেন না। খেলা তো শেষ হয়ে গেল, দিদি।