স্বাধীনতা দিবসের দিনেও রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একুশের নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। এমনকী সরকারের শপথের দিনও কড়া টুইট করেছিলেন। এমনকী গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল। রবিবার স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের পরেই একই সুর শোনা গেল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের গলায়। আবার হিংসা নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি। তৈরি হল রাজভবন–নবান্ন সংঘাতের আবহ।
আজ রবিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ৭৫০০ বর্গ ফুট পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখান থেকে যান ব্যারাকপুরের গান্ধী ঘাটে। সেখানেও পতাকা উত্তোলন করেন। গান্ধী ঘাটের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিকাশে বাধা হিংসা। সম্মান করতে হবে মানবাধিকারকে।’ হঠাৎ এই কথা বলায় শোরগোল পড়ে যায়। তবে এখানে নাম না করলেও কার্যত হিংসা, মানবাধিকার কথা তিনি রাজ্য সরকারের উদ্দেশেই বলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আজকের দিনে কেন তিনি এমন মন্তব্য করলেন তার ব্যাখ্যা তিনি দেননি। তবে এই ঘটনায় নতুন করে রাজভবন–মবাম্ন সংঘাত শুরু হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলার মসনদে বসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপর থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। এবার তা শোনা গেল স্বাধীনতা দিবসেও।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই তিনি নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করে এসেছেন। বিধানসভা অধিবেশনের বক্তৃতাতেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। চিঠি আর টুইট তার সঙ্গে তো রয়েছেই। এবার নয়াদিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেন জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, সেখানেও রাজ্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করেছেন। এবার আজকে সেটাই শোনা গেল তাঁর মুখে।