ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টের রায়ে আপাত মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। আদালতের রায়ে নিজেদের জয় দেখছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই রায় নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মানবতার জয় হয়েছে। শুভেন্দুর কথায়, “আমি এ ক্ষেত্রে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বলতে চাই। মানবিকতা ও মানবতার জয় হয়েছে। কারণ, ভোটের পর এই রাজ্যে যা সন্ত্রাস হয়েছে, তা স্বাধীনতার পরও কোথাও হয়নি।”
বাকি চার রাজ্যের উদাহরণ টেনে শুভেন্দুর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই ৪ রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কেরল, অসম, তালিমনাড়ু এবং পুদুচেরির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক মনে করিয়ে দেন, সেই রাজ্যে ভোটের পর কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। কোনও মৃত্যুও হয়নি। কাউকে ঘর ছাড়াও হতে হয়নি। উল্টে পশ্চিমবঙ্গে ২ মে, অর্থাৎ গণনার দিন দুপুর ১১ টা থেকেই সন্ত্রাসের সূচনা হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। অদ্ভুতভাবে চোখ বুঁজে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা হাইকোর্টের আজকের রায়ে বিজেপির মুখে হাসি ফুটলেও তা অস্বস্তি বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারের। যে কারণে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য পালটা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে, এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এতে খুব একটা লাভ হতে পারে, এমন কোনও সম্ভাবনা দেখছে না আইনজীবী মহল। দলের বরিষ্ঠ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ। তাতে বারবার সিবিআই চলে এলে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়।”