রাত পোহালেই উত্তরপ্রদেশে ভোট-উৎসব শুরু হতে চলেছে। হাইভোল্টেজ ২০২২ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ১০ ফেব্রুয়ারির প্রথম দফার ভোট গ্রহণ পর্বে ৫৮ টি আসনে লড়াই হতে চলেছে। উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক আঙিনায় আপাতত মসনদ দখলের যুদ্ধে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, আরএলডি, কংগ্রেস, এআইএমআইএম,ছাড়াও একাধিক স্থানীয় রাজনৈতিক শিবির নামছে ময়দানে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের তারকা প্রার্থী থেকে চমকপ্রদ আসনগুলি। জেনে নেওয়া যাক প্রথম দফা ভোট পর্বের বিস্তারিত তথ্য।
উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফা ভোটে ৫৮ আসনে লড়ছেন ৬২৩ জন প্রার্থী। লড়াইয়ে জোরালোভাবে রয়েছে বিজেপি, সপা-আরএলডি জোট, বিএসপি ও কংগ্রেস। এই ৫৮ আসনের মধ্যে আলাদা করে নজর কাড়ছে, মথুরা, থানা ভবন, মুজাফ্ফরনগর, নয়ডা, কাইরানা, বাগপাট, অতরৌলির মতো এলাকা। প্রথমপর্বের ভোটের ময়দানে একাধিক তারকা তথা হেভিওয়েট প্রার্থীরা রয়েছেন। পঙ্খ সিং, সুরেশ রানা, মৃগাঙ্গ সিংরা যেমন গঙ্গাপাড়ের প্রথমদফা ভোটে নজর কাড়ছেন তেমনই এই ভোটের আসরে কল্যাণ সিংয়ের নাতি সন্দীপ সিং লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন। এছাড়াও আহমেদ হামিদ, কপিল দেব আগরওয়াল, শ্রীকান্ত শর্মারা রয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে। প্রথমপর্বের ভোটে উত্তরপ্রদেশে নয়জন মন্ত্রীর ভাগ্য পরীক্ষা হতে চলেছে। এঁরা হলেন, দীনেশ খাতিক, সুরেশ রানা, অতুল গর্গ, শ্রীকান্ত শর্মা, সন্দীপ সিং, অনিল শর্মা, কপিল দেব আগরওয়াল, এছাড়াও রয়েছেন জি এস ধর্মেশ ও চৌধুরী লক্ষ্মী নারায়ণ। রাত পোহালেই এই তারকা প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চলেছেন ২.২৭ কোটি ভোটার। বৈধ এপিক কার্ড, তথা সচিত্র পরিচয় পত্র নিয়েই একমাত্র প্রবেশ করা যাবে ভোটিং সেন্টারে। এই নির্দেশ জানিয়েছে কমিশন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট আলাদাভাবে নজর কাড়ছে কোভিড বিধি ঘিরেও। শেষবার এই রাজ্যে ২০১৭ সালে বিধানসভা ভোট সম্পন্ন হয়। তবে ৫ বছর পর এবার করোনা আবহে বিধানসভায় প্রতিনিধি নির্ধারণ করতে ভোটগ্রহণের লাইনে বিধি মেনে দাঁড়াতে চলেছেন ভোটাররা। প্রথম দফা ভোটের এই ৫৮ টি আসনের রাজনৈতিক হাওয়া যদি ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, ৫৮ এর মধ্যে ৫৩ টি আসনই সেবার বিজেপির দখলে ছিল। সমাজবাদী পার্টি পেয়েছিল ২টি ও বিএসপি পেয়েছিল ২ টি আসন। রাষ্ট্রীয় লোকদল পেয়েছিল ১ টি আসনে জয়। উল্লেখ্য, ২০২২ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হতে চলেছে ১০ মার্চ। তার আগে ৭ মার্চ ভোট পর্ব শেষ হলেই শুরু হবে বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ। বিভিন্ন বেসরকারি রিসার্চ সংস্থার হাত ধরে এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসবে বহু সংবাদমাধ্যমে।