খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandyopadhyay )পাড়ায় দাদাগিরি দেখালেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তুষার কান্তি ঘোষ। বুধবার কালিঘাটে ১২ টি বস্তিতে সাড়ে ৫০০ পরিবারকে খাবার দিলেন তিনি। গেরুয়া শিবির অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতে এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই বলে জানিয়েছে। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন এর মধ্যে একটা অন্য সমীকরণ রয়েছে।
এমনটা মনে করার কারণ? গত বছর , সময় কালিঘাটের একটি পরিচিত পুজো কমিটিসহ দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু তৃণমূলের দখলে থাকা পুজো কমিটির দখল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। অশান্তির জেরে শেষে বেশ কিছু পুজো কমিটি থেকে সরে আসতে হয় বিজেপিকে। একটি পুজোর থিম শিল্পীকে ও সরিয়ে দেওয়া হয়।
এবার মঙ্গলবারই মার্শাল হাউসের বিপরীতে কিছু দুঃস্থ পরিবারকে ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। কিন্তু পুলিশি বাধায় ত্রাণ দিতে না পেরে ফিরে আসেন। সায়ন্তন অভিযোগ করেন, এখানে বিরোধীদের মিটিং, মিছিল করতে দেওয়া হয় না। ত্রাণও দিতে দেওয়া হয়না। এই পরিস্থিতিতে ঠিক তার পরের দিন মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে সাড়ে ৫০০ দুঃস্থ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়াকে সাফল্য বলেই মনে করছে তথ্যাভিঞ্জ মহল।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ লকডাউনের সময় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি। সেইজন্য আমি কালিঘাটের সাড়ে ৫০০ দুঃস্থ পরিবারকে খাবার দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বিপরীতের বস্তি থেকে কেওড়াতলা শ্মশান, আবার কালিঘাট মন্দিরের সামনের বস্তি, মোট ১২টি বস্তিতে খাবার দিয়েছি। প্রত্যেক পরিবারকে ২ কিলো চাল, ২ কিলো আলু, ৫০০ গ্রাম ডাল, ১ কিলো আটা, নুনের প্যাকেট এবং মাস্ক দেওয়া হয়েছে। এরপর দু-এক দিনের মধ্যেই শিশু মঙ্গল হাসপাতালের সামনের বস্তি, টালিগঞ্জ, নিউআলিপুর এলাকাতেও ত্রাণ দিতে যাব।’ তুষার এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী নিয়ে রাজনীতি হোক চাননা। তাঁর সাফ কথা, ‘ মানুষ বিপদের মধ্যে রয়েছে, এখন রাজনীতি নয়।’