রিংকি দাস, খেজুরী, আমাদের ভারত, ১৪ জুন : ফের সাধারণ মানুষের ত্রাণ লুঠের অভিযোগ উঠল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। খেজুরীর আলিপুর বাজারের বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে, বোমাবাজি সহ ত্রিপল চুরি ও খাবার লুঠের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এছাড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুটি চা দোকান ভাঙচুর এবং এক চা বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগও উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে । এরপর ঘটনা স্থলে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
রবিবার রাত্রি ১০টা নাগাদ তৃণমূলের কর্মীরা আলিপুরের বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডল কার্যালয়ে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ মানুষের জন্য রাখা দেড় হাজারের বেশি ত্রিপল এবং শুকনো খাবার লুটপাট করে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে বিজেপির দলীয় কার্যালয় এবং পাশের চায়ের দোকান ভাঙচুর করে লন্ডভন্ড করে দেয় বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা পবিত্র দাস। এছাড়া বিজেপি সমর্থিত কর্মী ও চা বিক্রেতা অরুণ দাস মাহাতোকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রায় চার ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর প্রশাসন তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয় বলে জানান ওই বিজেপি নেতা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রাথমিক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় হামলাকারি তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনা স্থলে তালপাটিঘাট কোস্টাল থানার পুলিশ পৌঁছালে তাদেরকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে এই লুঠের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজেপি জেলা নেতা উদয়শঙ্কর মাইতি এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানিয়ে ক্ষতিপূরনের দাবি জানিয়েছেন। অতিমারী ও লকডাউনে মানুষের স্বাস্থ্যের দিকটিকে নজরে রেখে এখনই বড় কোনো পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করেননি। তবে লকডাউন পর্ব শেষ হলেই এই প্রতিবাদ আরও তীব্র হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক পুলিশের বিরূদ্ধে ঢিলেমির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, পুলিশকে অভিযোগ করা হলেও যথাসময়ে তারা পদক্ষেপ করেনি। ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, সোমবার বিকেলে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান বিজেপি বিধায়ক।