চার দফার ভোটেই সাফ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল, চার দফার ভোটেই ১০০ আসন পাবে বিজেপি। সোমবার বর্ধমানের জনসভা থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ করে মোদী বলেছেন, “বাম, কংগ্রেস একেবারে বাংলা থেকে চলে গিয়েছে। আর ফিরতে পারেনি। তৃণমূল এবার চলে গেলে আর ফিরতে পারবে না। বাংলা চায় আসল পরিবর্তন।” এদিন বর্ধমানের তালিত সাই সেন্টারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই বলেছেন, “বর্ধমানের দু’টি জিনিস বিখ্যাত, চাল আর মিহিদানা। দিদি কি বর্ধমানের মিহিদানা পছন্দ করেন না? তাহলে দিদির মধ্যে কেন এত তিক্ততা?” মোদী বলেছেন, “চার দফার ভোটেই তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে দিদি। অর্ধেক ভোটেই ১০০ আসন পাবে বিজেপি। দিদির বক্তব্যের মধ্যেই ফুটে উঠছে যে তাঁর হার এবার নিশ্চিত।” তৃণমূলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দিদির লোকেরা এখন তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের মানুষকেও গালি দিতে শুরু করেছেন। তাদের ভিখারী বলে অসম্মান করছেন। দিদি নিজেকে সবসময় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলেন। দিদির অনুমতি ছাড়া দলের কেউ কি কোনও কথা বলতে পারে? দিদি তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে এইভাবে অপমান করতে পারেন না।”
তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত, এই দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বাম, কংগ্রেস একেবারে বাংলা থেকে চলে গিয়েছে। আর ফিরতে পারেনি। তৃণমূল এবার চলে গেলে আর ফিরতে পারবে না। বাংলা চায় আসল পরিবর্তন। বাংলা চায় না তৃণমূলের কুশাসন। বাংলা চায় না দিদি-ভাইপোর হিংসার খেলা। বাংলা চায় বিকাশ, বাংলা চায় সুশাসন, বাংলা চায় উন্নয়ন, বাংলা চায় নারী সুরক্ষা, বাংলা চায় কর্মসংস্থান। বাংলা চায় আসল পরিবর্তন।” মমতাকে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেছেন, “বাংলার মানুষকে বাড়ি বানাতে হলে দিদিকে কাটমানি দিতে হবে। কেউ নিজের সম্পত্তি বিক্রি করলেও দিতে হবে কাটমানি। উৎসব অনুষ্ঠান পালন করতে চাইলেও দিতে হবে কাটমানি। তাই তো দিদির ঘনিষ্ঠরা সবাই বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়ে গিয়েছে।”বঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপির মন্ত্র হল সকলের সঙ্গে, সকলের বিকাশ, সকলের বিশ্বাস। আর তৃণমূলের মন্ত্র হল মাকে অত্যাচার করো। মাটিকে লুট করো। আর মানুষের রক্ত গঙ্গা বইয়ে দাও।” মোদী বলেছেন, “মা মাটি ও মানুষের নামে ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গে শাসন করেছেন মমতা, কিন্তু এখন তিনি শুধু মোদী মোদী মোদী বলছেন।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “বিহারের পুলিশ কর্মী, যিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে বাংলায় এসেছিলেন। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা হল। যা দেখে তাঁর মাও মৃত্যুবরণ করেন। যা খুবই দুঃখজনক। আমি দিদিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, পুলিশ অফিসারের মা কি মা নয়?” মোদী আরও বলেছেন, “বাংলার কৃষকদের সঙ্গে দিদির কী শত্রুতা আছে? কেন্দ্র কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দিতে চাইছে। কিন্তু দিদি তা দিতে দিচ্ছেন না। ২ মে-র পর বাংলায় বিজেপি সরকার গড়বে এবং কৃষকদের সমস্ত বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কারণ, তখন কৃষকদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি সরকার।”
2021-04-12