দেহ নিয়ে শ্মশানে যাওয়ার সময় “রাম নাম সত্য হ্যায়” ধ্বনি দেওয়ার অপরাধে পাঁচ বিজেপি কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হল। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার পুরাতন বনগাঁর ফটিক পাড়া এলাকার।
অভিযোগ, বুধবার প্রতিবেশী এক বৃদ্ধার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এলাকার বেশ কিছু যুবক মিলে ওই দেহ সৎকার করতে শ্মশানে নিয়ে যান। সেই সময় কেউ হরি ধবনি দেয়। কেউ কেউ “রাম নাম সত্য হ্যায়” ধ্বনি দেয়। যারা রামনামের ধ্বনি দেন তাঁরা ছিলেন বিজেপি কর্মী। এই নিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যেই বচসা বাধে। এরপর দেহ সৎকার করে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় এক তৃণমূলের নেতা মদতে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেয় বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষের দাবি ৫ জন আক্রমণকারী দাঁ দিয়ে বিজেপির দুই কর্মীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। সেই সময় এক বৃদ্ধ সহ আরও তিনজন বাধা দিতে এগিয়ে এলে তাঁদের বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায়। মারের চোটে ওই বৃদ্ধ অচৈতন্য হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
এরপর বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা গেলে চম্পট দেয় আক্রমণকারীরা। আহতদের উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যাদের দাঁ দিয়ে কোপানো হয়েছিল সেই দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এর আগেও ওই এলাকার মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে। সেদিনও “রাম নাম সত্য হ্যায়” ধ্বনি দেওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। বনগাঁ মহকুমায় তৃণমূলের অস্তিত্ব মুছে গিয়েছে। সেই রাগেই এই সব করছে। পুলিশ যদি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে তা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিজেপি। এব্যপারে তৃণমূলের কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।