আসামে চালু হল ট্রানজিট ক্যাম্প। এবার থেকে এখানেই রাখা হবে ‘অবৈধ বিদেশি’ নাগরিকদের। ইতিমধ্যেই সেখানে ঠাঁই হয়েছে ৬৮ জনের। এই ঘটনায় এনআরসি বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দিল।
ট্রানজিট ক্যাম্প অনেকটা মুক্ত কারার মতো। শর্তসাপেক্ষে সেখান থেকে দিনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বের হওয়া যাবে। কিন্তু ফিরে যেতে হবে ক্যাম্পেই।
এতদিন বিদেশি নাগরিক হিসাবে সন্দেহভাজনদের ছয়টি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হত। সেগুলি সবই বিভিন্ন কারাগারের অংশ। জেলখানার কিছু অংশকে আলাদা করে আটক শিবির বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যদিও জেলখানার নিয়মকানুনের সঙ্গে ডিটেনশন সেন্টারের কোনও ফারাক নেই।
আদালতের নির্দেশেই আলাদা জায়গায় ট্রানজিট ক্যাম্প তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সন্দেহের কারণে কাউকে আটকে রাখা যাবে না।
গোয়ালপাড়ার মাটিয়া ট্রানজিট ক্যাম্পটি ২০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। সেখানে প্রায় তিন হাজার মানুষকে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির বক্তব্য, মাটিয়াতে রাখা ৬৮জনের অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অর্থাৎ প্রশাসন নিশ্চিত নয় তারা বিদেশি নাগরিক কিনা।