বাঁকুড়ার খাতরায় বিজেপির জেলা সহ সভাপতিকে মারধর ও তাঁর অফিস ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ‘আক্রান্ত’ বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সহ সভাপতি শ্যামল সরকার (বেনু)-র অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি যখন খাতড়া কোর্ট রোডে তাঁর বাড়ির অফিস ঘরে বসেছিলেন ঠিক তখনই খাতড়া ব্লক যুব তৃণমূল সহ সভাপতি সুব্রত দে-র নেতৃত্বে একদল দূস্কৃতি অতর্কিতে হামলা চালায়।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তিনি সহ ঐ সময় কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন । একই সঙ্গে তাঁর অফিসেও ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে তিনি রবিবার খাতড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর বিগত লোকসভা ভোটের আগে শ্যামল সরকার পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। তারপর থেকেই শাসক দলের ‘চক্ষুশূল’ হয়ে ওঠেন শ্যামল সরকার। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। এর আগেও বিজেপি নেতা শ্যামল সরকারের ছেলের উপর তৃণমূল আশ্রিত দূস্কৃতিরা আক্রমণ করেছিল বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা খাতড়া শহরে মিছিল করে থানায় ডেপুটেশন দেন। একই সঙ্গে রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে পুলিশের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের হাতে নিজে ‘আক্রান্ত’ দাবি করে বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শ্যামল সরকার বলেন, আমি অফিসে বসে থাকাকালিন এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে। জঙ্গলমহলে শাসক দলের সংগঠনের অবস্থা শোচনীয়। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে নিজেদের পরাজয়ের আশঙ্কা থেকেই এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
খবর পেয়েই খাতড়ায় পৌঁছে গেছেন বিজেপির রাঢ় বঙ্গ জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রাজু ব্যানার্জী। তিনি বলেন, ‘বেনুদা খাতড়া সহ বাঁকুড়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা’। শাসক দলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। সেকারণেই নেতা কর্মীদের মারধোর, ভয় দেখানো, মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ এসব ব্যর্থ করবেন। আগামী ২০২১ এ সব কিছুকেই ছাপিয়ে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বলে তিনি দাবি করেন।এবিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূলের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।