বিহারের বিধানসভা নির্বাচন, এবং ১০ রাজ্যের ৫৪ আসনের উপনির্বাচনের মধ্যেই রাজ্যসভায় নিজেদের শক্তি একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে নিল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের ৮ এবং উত্তরাখণ্ডের একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল গেরুয়া শিবির। এর ফোলে স্রেফ বিজেপির আসন সংখ্যাই পৌঁছে গেল ৯২-এ। সার্বিকভাবে এনডিএর (NDA) আসন সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে সেঞ্চুরির গণ্ডি। যা পরবর্তীকালে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে শাসক শিবিরকে।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের ১০টি এবং উত্তরাখণ্ডের একটি রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল। যাতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ৮ জন, সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) একজন এবং বিএসপির (BSP) একজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সমাজবাদী পার্টি যে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করার প্রস্তাব দিয়েছিল, শেষমুহূর্তে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। ফলে ১০ জন প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান। এদের মধ্যে একজন আবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের একটি আসনেও বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করেনি কংগ্রেস (Congress)। ফলে, ১১টির মধ্যে ৯টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে গেরুয়া শিবির, সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপি জিতেছে একটি করে আসনে।
এই ৯ আসনে জয়ের ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে শুধু বিজেপিরই সাংসদ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯২। বিজেপির জোটসঙ্গীদের মধ্যে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের (JDU) সাংসদ সংখ্যা পাঁচ। এছাড়া অন্যান্য ছোট দলগুলির সাংসদ সংখ্যা ৭টি। ফলে রাজ্যসভায় এনডিএর সাংসদ সংখ্যা বেড়ে হল ১০৪। সেই সঙ্গে চারজন মনোনীত সদস্যেরও ভোট পাবে তারা। রাজ্যসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২১-এর আরও কাছে পৌঁছে গেল তাঁরা। এছাড়াও বিজেডি, টিআরএস, এআইএডিএমক, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো দলগুলি প্রয়োজন পড়লেই শাসক শিবিরকে সমর্থন করবে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াল মাত্র ৩৮। যা কিনা সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এর ফলে এখন থেকে যে কোনও বিল রাজ্যসভায় পাশ করানোর পথ আরও মসৃণ করে ফেলল বিজেপি।