দু’দিনের রাজ্য সফরে এসে কি দলের বিদ্রোহীদের বার্তা দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? সফরে শাহের অনুচরদের দেখে এমনই অনুমান করছেন অনেকে। ২ দিনের সফরে শাহের পাশে একবারও দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। দেখা যায়নি লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা বা শমীক ভট্টাচার্যের মতে নেতাদেরও। উলটো দিকে ২ দিনই ছায়াসঙ্গীর মতো তাঁর পাশে ছিলেন শুভেন্দু, সুকান্ত, অমিত মালব্য। যাতে অনেকের অনুমান, শুভেন্দু – সুকান্তই যে রাজ্য বিজেপির ভবিষ্যৎ তা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন শাহ।
রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল শুরু হতেই দেখা দিয়েছে একের পর এক বিদ্রোহ। সরাসরি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ না করলেও রাজ্য সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ও রাজ্যের পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যকে নিশানা করেছেন প্রায় সবাই। এরই মধ্যে সম্প্রতি নাম না করে অমিত মালব্যের অপসারণ চেয়েছেন দলের সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বয়স্ক ও গ্রহণযোগ্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। এরই মধ্যে অমিত শাহের বাংলা সফরে সিনে দেখা গেল না দিলীপ ঘোষকে। এমনকী কোরগ্রুপের বৈঠকেও ডাক পাননি তিনি। তেমনই দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত কোনও বিজেপি নেতাকে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, রাজ্য বিজেপিতে বিদ্রোহের সামনে যে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মাথা নোয়াবে না তা স্পষ্ট করে দিয়ে গেলেন শাহ। শুভেন্দু, সুকান্ত, অমিত মালব্যদের সারাদিন সঙ্গে করে নিয়ে ঘুরে বুঝিয়ে দিলেন, বাংলায় বিজেপি করতে হবে এদের নেতৃত্বেই। এমনকী সফরের শেষলগ্নে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে নৈশভোজে স্বপন দাশগুপ্তকে দেখা গেলেও দিলীপ ঘোষকে দেখা যায়নি।
সূত্রের খবর, কোর কমিটির বৈঠকে ডাক না পেয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ। এমনকী অমিত শাহের বিরুদ্ধে নড্ডার কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন তিনি।
শাহের সফরে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘আমি বিমানে বা হেলিকপ্টারে উঠি না। আমি ট্রেনে করে দিল্লি যাই। ভোটের সময় পার্টি হেলিকপ্টার দিলে উঠতে হয়। নইলে আমি মাটিতেই আছি। দেখেন না রোজ হাঁটি।’