প্রশাসনিক স্তরে চূড়ান্ত গোপনীয়তা ও তৎপরতার সাথে চলছে ব্যালট ছাপার কাজ। সেই ব্যালট ছাপা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাড়তি ব্যালট ছাপিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপি করতে চাইছে শাসক দল এমনই অভিযোগ করলেন তিনি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, পাগলের প্রলাপ বকছে দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার রানাঘাটে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে একাধিক ইস্যুতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একাধিক প্রেসে বাড়তি ব্যালট ছাপার অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপবাবু মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “যেখানে ব্যালট ছাপা হচ্ছে সেখানে প্রায় প্রতি প্রেসে ১০০-১৫০ বাড়তি ব্যালট ছাপানো হচ্ছে। সাধারণত ১০ থেকে ১৫ টি বাড়তি ব্যালট ছাপানো হয়, সেখানে এতগুলো বাড়তি ব্যালট কেন ছাপানো হচ্ছে?” দিলীপবাবুর আরও সংযোজন “বাইরে থেকে ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে ভোট প্রক্রিয়ায় কারচুপি করতে চাইছে তৃণমূল।” এছাড়াও তৃণমূল রাজ্য যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও মলয় ঘটককে ইডির তলবপ্রসঙ্গে শাসক দলকে নিশানা করেন দিলীপবাবু। ভাঙরে তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রানাঘাট সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গোটা ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। কোথায় কীভাবে কত ব্যালট ছাপানো হবে সেটা কোনো রাজনৈতিক দল ঠিক করতে পারে না। দিলীপবাবু পথ হারিয়েও অনেকদিন থেকেই ওসব পাগলের প্রলাপ বকে যাচ্ছেন।”