লাদাখ ইস্যুতে এবার বিরোধী শিবিরকে আলোচনায় ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আগামী ১৯ তারিখ লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারচুয়াল ওই বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
চিন সীমান্তে প্রায় দেড়মাস ধরে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি। সাড়ে চার দশক পর সোমবার পূর্ব লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের রক্ত ঝরেছে। শহিদ হয়েছেন ২০ জন। অথচ, ভারত সরকারের শীর্ষস্থানীয় কোনও মন্ত্রী এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী কারও গলাতেই এই ইস্যু নিয়ে আক্রমণাত্মক সুর শোনা যায়নি। তারা সকলেই চিন ইস্যুতে নীরব থাকাটাই শ্রেয় বলে মনে করছেন। সরকারের এই নীরবতাকে বারবার কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। লাদাখের ঠিক কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছে কংগ্রেস (Congress)। বুধবারও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন। রাহুলের প্রশ্ন, এভাবে আর কতদিন নীরব থাকবেন মোদি ? একই সুরে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিব সেনাও।
বিরোধীদের চাপের মধ্যেই সরকার আগামী ১৯ জুন বিকেল ৫টায় লাদাখ ইস্যুতে সর্বদল বৈঠক ডাকল। বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে এবারের সর্বদল বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সাধারণত এই ধরনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের বা সংসদের দলনেতাদের ডাকা হয়। উল্লেখ্য, এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সামনে গোটা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেন, তাঁদের সমর্থন প্রার্থনা করেন। এবং আগামী দিনের রণকৌশল নিয়ে পরামর্শ চান। ১৯ জুনের বৈঠকেও তেমনটাই হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। চিন সরকারের অযাচিত আগ্রাসন রুখতে ভারত সরকার কোন পথে এগোতে চাইছে, আগামী দিনে ভারতের আর কী কী পদক্ষেপ করা উচিৎ? বিরোধী শিবিরের সঙ্গে সেসব নিয়েই আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।