উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অপরাধে কাফিল খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা আইনের মেয়াদ বাড়াল সরকার

আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে (AMU) উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার মামলায় গোরখপুরের বহু চর্চিত ডাক্তার কাফিল খানের (Kafeel Khan) মুশকিল আরও বেড়ে গেল। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা আইন (NSA) এর আওতায় জেলে বন্দি কাফিল খানের বিরুদ্ধে লাগু এই আইন ১২ মে সমাপ্ত হয়েছিল। এবার রাজ্য সরকারের সুপারিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় কাফিল খানের বিরুদ্ধে জারি NSA ১২ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলো

কাফিল খানের উপর নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে AMU-তে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া অভিযোগ উঠেছিল। তিন মাস মথুরা জেলে বন্দি ডাক্তার কাফিল খানের বিরুদ্ধে এই মামলাতেই NSA জারি করা হয়। NSA এর সময়সীমা বাড়ানর খবরের সত্যতা স্বীকার করে আলীগড়ের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, এরকম ওনার মুক্তিতে আইন শৃঙ্খলা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখে করা হয়েছে।

কাফিল খানের ভাই আদিল আহমেদ NSA আরও তিনমাস বাড়ানো নিয়ে আশ্চর্য ব্যাক্ত করে বলেছেন, ওনার রেহাইয়ে অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা শুধু আশ্চর্যজনকই না, হাস্যকরও। উনি জানান, রেল আর বীমা পরিষেবা বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয়েও পঠনপাঠন স্থগিত। তাহলে এটা কি করে সম্ভব যে, কাফিল আবারও এএমইউ যাবে আর শান্তি ভঙ্গ করবে?

আদিল কাফিলের স্বাস্থ নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করে মথুরা জেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশিকা অবমাননার অভিযোগ তুলেছে। আদিল জানিয়েছে, ২৯ জানুয়ারি মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হওয়া কাফিলকে ১০ই ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদ হাইকোর্ট জামিন দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু জেলের আধিকারিকরা তাঁকে মুক্তি দেয়নি। এরপর আলীগড়ের আদালতে যাওয়া হয়, আর ১৩ই ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত কাফিলের পক্ষে আসে। আদিল জানায়, আদালতের রায়ের আগেই কাফিলের বিরুদ্ধে NSA লাগু করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.