করোনা আবহে নির্বাচনের গাইডলাইন প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশনের

করোনা আবহে নির্বাচনের গাইডলাইন প্রকাশ করল কমিশন। মূলত বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে প্রার্থী-সহ পাঁচজনের বেশি যাওয়া যাবে না । এছাড়া প্রার্থী থেকে শুরু করে ভোটকর্মী ও ভোটারদের মাস্ক, গ্লাভস পরা, সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। মনোনয়ন থেকে স্ক্রুটিনি, সব প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তরা ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়ে কমিশন ।

 করোনা সংক্রমণের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ১২ পাতার এই নির্দেশিকায় জানান হয়েছে, নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে বড় মিছিল করা যাবে না। প্রার্থী নিজের সঙ্গে আরও চারজনকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে পারবেন। তবে পাবলিক মিটিং কিংবা রোড শো করতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে তাঁদের। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তরা ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়ে কমিশন । এছাড়া প্রার্থী থেকে শুরু করে ভোটকর্মী ও ভোটারদের মাস্ক, গ্লাভস পরা, সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। মনোনয়ন থেকে স্ক্রুটিনি, সব প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তরা ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়ে কমিশন । এবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া, মনোয়নের টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে স্ক্রুটিনি, সবই অনলাইনে হবে। তাছাড়া নির্বাচনের কাজে যুক্ত প্রত্যেককে, অর্থাৎ প্রার্থী, তাঁর সমর্থক, ভোটের কাজে যুক্ত সরকারি কর্মী, ভোটার প্রত্যেককে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে। নির্বাচনের আগে স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রকে যেন ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়, সেখানে ঢোকার আগে প্রত্যেকের যেন থার্মাল স্ক্রিনিং করে দেখা হয়, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।

নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্র, জেলা ও রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। তাঁরা নিজেদের এলাকার সব ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন। যাঁরা ভোট করাতে যাবেন, তাঁদের অনলাইনে ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের অধীনে ভোটগ্রহণ, গণনা প্রভৃতির জন্য কর্মীদের রিজার্ভ পুল থাকবে। দরকার পড়লে তার ব্যবহার করা হবে।এ বছর অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তার দিনক্ষণ ঠিক হবে। তার আগে কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন কী ভাবে করানো যায়, তা নিয়ে এই নির্দেশিকা জারি করল কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.