দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার (Union Cabinet) রদবদল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে মোট ৪৩ জন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রদবদলের পরে নতুন মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে জায়গা পেয়েছেন চারজন। সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar), নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik), জন বার্লা (John Barla) ও শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। বুধবার শপথগ্রহণের পরে বৃহস্পতিবার নতুন দপ্তরে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করছেন তাঁরা। এদিন সকালে সুভাষ সরকার ও জন বার্লা দায়িত্ব নেন। একটু পরে বিকেলের দিকে নিশীথ প্রামাণিক নতুন দায়িত্ব বুঝে নেন। তবে শান্তনু ঠাকুর আজ দায়িত্ব বুঝে নেননি। সম্ভবত আগামিকাল তিনি দায়িত্ব নেবেন।
পূর্ণ মন্ত্রিত্ব নয়, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁরা। সুভাষ সরকার হলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিক স্বরাষ্ট্র ও যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক, জন বার্লা সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং শান্তনু ঠাকুর বন্দর জাহাজ চলাচল এবং জলপথ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন।
এদিন নিজের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। তবে তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে জনগণের জন্য কাজ করতে পারলে মানুষের ভাল হবে। পাশাপাশি বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বাংলার মানুষ পাচ্ছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানান জন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নতুন ক্যাবিনেটের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে সাতটার সময় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক। দ্বিতীয় বৈঠকটি ভারচুয়াল হবে বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় মাত্র ৫৩ জন সদস্য ছিলেন। তারপর একাধিক মন্ত্রীর মৃত্যু, একাধিক ছোট শরিকের NDA ত্যাগ এবং সর্বোপরি রদবদলের আগে ১২ জন মন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু পদ ফাঁকা হয়েছিল। এদিন নতুন করে ৪৩ জন শপথ নেওয়ায় মোদি মন্ত্রিসভায় মোট সদস্য হলেন ৭৭ জন। এদের প্রায় অর্ধেকই একেবারে নতুন মুখ।