নাটকীয় গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবসায়ী রাখাল বেরাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিকেলের মধ্যে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আদালত জানিয়েছে ২৬ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির আগে পর্যন্ত রাখালবাবুকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুভেন্দুবাবুর নাম করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন তিনি। এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়ে কলকাতার মানিকতলা থানায়। গত ৫ জুন রাখালবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ রাখালবাবুকে জামিন দেয়। এই নির্দেশে স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় দায়ের এক অভিযোগের ভিত্তিতে রাখালবাবুকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর পরই আদালত রাজ্যকে প্রশ্ন করে, সিঙ্গল বেঞ্চ যাঁকে জামিন দিয়েছে এবং উচ্চতর বেঞ্চে জামিনের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে, এমন ব্যক্তিকে কেন ফের গ্রেফতার করল পুলিশ? বুধবারের শুনানিতে তার ব্যাখ্যা তলব করে আদালত।
এদিন শুনানিতে বিচারপতিরা বলেন, নন্দকুমার থানায় যে অভিযোগের ভিত্তিতে রাখালবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর পরই অবিলম্বে রাখালবাবুকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন তাঁরা। দ্রুত নির্দেশ কার্যকর করতে তৎপর হওয়ার জন্য বলেন অ্যাডভোকেট জেনারেলকে। সঙ্গে জানান, ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত কোনও মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না রাখালবাবুকে। ২৬ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন বিস্তারে রাজ্যের বক্তব্য শুনবে আদালত।