নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনার অন্ত নেই। তার মধ্যেই তাঁর ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা সিরাজ খান গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই সিরাজ জানালেন, দলবদলের আগে শুভেন্দু অধিকারীকে মেসেজ করে আশীর্বাদ চেয়েছিলেন তিনি। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সিরাজ খান।
তিনি জানিয়েছেন, “আমি একজন মৎস্যজীবী। মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ না দিয়ে আমাকে দিয়েছে খাদ্য দফতর। সেখানেও কোনও কাজ করতে পারছি না।সম্প্রতি সরকার প্রদেয় ছোলার ডালের পোকা ধরেছিলাম। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বা জেলাশাসককে জানিয়েও কোনও ফায়দা হয়নি। দুর্নীতি ধরলেও তা বন্ধ করতে পারছি না।”
সিরাজ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে দল বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তলায় বহু দিন ধরেই কোনও কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না নন্দীগ্রামের বিধায়ককে।
এদিকে শুভেন্দুর সঙ্গে দলের সাংসদ সৌগত রায়ের বৈঠক চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলেই খবর। সেইসঙ্গে শুভেন্দুর দলবদলের জল্পনায় বাড়ছে। এদিন মেচেদার সভায় বিজেপিতে শুভেন্দুর যোগ দেওয়া নিয়ে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করতে দেখা গেল না কোনও বিজেপি নেতাকেই।
বরং আগাগোড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করে গেলেন তাঁরা। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা শুভেন্দুর নাম মুখে না আনলেও, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় ঝোলানোর পর শুভেন্দুর নাম টেনে আনেন সিরাজ।
সিরাজ বলেন, ‘‘তৃণমূলে কাজ করার সুযোগই পাচ্ছিলাম না। এসএমএস করে শুভেন্দু অধিকারীর আশীর্বাদ চেয়েছি। এখনও উত্তর পাইনি ওঁর কাছ থেকে। কথা বলার সুযোগও হয়নি। শুভেন্দুবাবু অনেক বড় মাপের নেতা। উনি বিজেপিতে আসবেন কি না, জানা নেই আমার।’’