সাঁকরাইল থানার ওসির হাতে আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাঁকরাইল থানার ওসির সাসপেন্ডই নয় তার গ্রেফতারিরও দাবি জানান শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “বিষয়টা অত্যন্ত নিন্দনীয়। গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। তিনি একজন দুরারোগ্য ক্যান্সার রুগী। এখানকার ওসি যেভাবে এখানকার জেলা পরিষদের প্রার্থীকে আক্রমণ করেছে এটার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে পশ্চিমবাংলায় মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বে পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। তারা পার্টির ক্যাডারের থেকেও অধম। শুভঙ্কর মাহাতোকে এখানে চাপ দেওয়া হয়েছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। সাঁকরাইল ব্লকে এই ওসি খন্দকার সাইফুদ্দিন আহমেদ কেশপুর জ্বালিয়ে এসেছেন। বহু থানাতে এর কুকীর্তি আছে, বালি তোলাতে ওস্তাদ। এই অফিসার এখানে অনেক জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী করতে দেয়নি। কোনও বিরোধী দলকেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। সাঁকরাইল ব্লকে ২০১৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল। এখানে জনসমর্থন ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে বেশি। এখানে একজন দলদাস ওসি কে এনে মমতা ব্যানার্জি এবং তার ভাইপোর গুন্ডামি সেটা আমরা এখানে দেখেছি।”
শুভেন্দু আরও বলেন, “শুভঙ্কর মাহাতোর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। শুভঙ্কর মাহাতোকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, লুকিয়ে রাখা মানে আমাদের দলের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। যাতে পুলিশ ওকে টাচ না করতে পারে। কারণ এই তোলামূলের পুলিশ এখানকার ওসি শুভঙ্করের বিরুদ্ধে দু’টি মিথ্যা মামলা করেছে। আমি এখানকার জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছি, মামলার কপি দুটি তুলবে এবং উনার স্ত্রীকে দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করবে এবং এখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মাওবাদী কার্যকলাপের সময়কালের উদাহরণ তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে সেই পুরনো দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। কারণ তাদের সঙ্গে মানুষ আর নেই।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ দিয়ে গ্রাম দখল করা যায় না। আমি এই পরিবারগুলোর পাশে রয়েছি। এই অভিযুক্ত ওসিকে শুধু সাসপেন্ড নয়, সে যাতে গ্রেফতার হয় তার জন্য আইনি লড়াইয়ে যা যা করণীয় আমি করবো। আমি বিরোধী দলনেতা সাথ দেব।”
প্রসঙ্গত, গত ২৬শে জুন ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত তুঙ্গাধুঁয়া এলাকায় বিজেপির ১১ নম্বর জেলা পরিষদের আসনের প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো কে সাঁকরাইল থানার ওসি মারধর করছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওসির মারে জখম হয়ে শুভঙ্করবাবু মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক শুরু হয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ।