বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্য়জনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আরজেডি নেতা শরদ যাদব। সাতবারের সাংসদের মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার মৃত্যু খবর জানিয়েছেন শরদকন্যা সুভাষিণী। তিনি জানান, ‘বাবা আর নেই।’ বৃহস্পতিবার তাঁকে যখন ফর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে আনা হয়। ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংজ্ঞাহীন অবস্থায় গুরুগ্রামের ফর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে শ্রী শরদ যাদবকে আনা হয়েছিল। পরীক্ষায় তাঁর নাড়ির স্পন্দন বা রক্তচাপ ধরা পড়েনি। নিয়ম মোতাবেক তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়।’
চিকিৎসকরা রাত ১০টা ১৯ নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিন ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘শরদ যাদবের প্রয়াণে ব্যথিত। তাঁর দীর্ঘ জনজীবনে নিজেকে মন্ত্রী ও সাংসদ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তিনি ডক্টর লোহিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা আমার আজীবন মনে থাকবে। তাঁর পরিবার ও গুণমুগ্ধদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন, ‘শ্রী শরদ যাদবের মৃত্যুর খবর শুনে আমার মন ভারাক্রান্ত। একজন দৃঢ়চেতা রাজনীতিবিদ এবং একজন অত্যন্ত সম্মানিত সহকর্মীকে হারালাম। তাঁর উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে। আমি প্রার্থনা করি, তাঁর পরিবার ও অনুগামীরা এই শোকের মুহুর্তে যেন সান্ত্বনা এবং শক্তি পায়।’
১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে জনতা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নয়া দল জনতা দল (ইউনাইটেড) গঠন করেছিলেন। ২০০৩ সালে, শরদ যাদব জনতা দল ইউনাইটেড জেডি(ইউ) এর সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০১৭ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে, যখন নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে জেডি(ইউ) বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল, শরদ যাদব তা মেনে নেননি। যার জন্য জেডি(ইউ) তাকে রাজ্যসভা থেকে বহিস্কার করতে চেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে জেডিইউয়ের সঙ্গে সম্পর্কের পাট চুকিয়ে লোকতান্ত্রিক জনতা দল তৈরি করেছিলেন শরদ। পরে সেই দল যুক্ত হয় লালুপ্রসাদ যাদবের পার্টি আরজেডি-র সঙ্গে।