৬ ফেব্রুয়ারি বাংলায় পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে রথযাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লিতে কোর কমিটির বৈঠক শেষে মঙ্গলবার একথা জানালেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়৷
ভোটের আগে রথযাত্রা করে বাংলার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। যদিও রথযাত্রা (RathYatra) নয়, বরং এই কর্মসূচিকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ নাম দিয়েছেন অমিত শাহরা। ইতিমধ্যে সেই কর্মসূচি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির।
জানা গিয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনিই উদ্বোধন করবেন রথযাত্রা কর্মসূচির। চলতি মাসের ১০ তারিখে দু’দিনের সফরে বাংলায় আসবেন অমিত শাহ। ১১ তারিখ কোচবিহারে থাকবেন তিনি। সেখানে রথযাত্রার সূচনা করবেন। বঙ্গ সফরে এসে ঠাকুরনগরেও সভা করবেন শাহ।
এর আগে অমিত শাহের ঠাকুরনগরে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দুদিনের সফর বাতিল হয়ে যায় অমিত শাহের। দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দিল্লিতে থাকা জরুরি মনে করেন অমিত শাহ। ফলে তিনি বাংলা সফর বাতিল করে দেন।তবে ঠাকুরনগরে মঞ্চ খুলতে নিষেধ করেন অমিত শাহ। এদিকে, মতুয়া সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে কী বার্তা দেন অমিত শাহ, তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। অমিত শাহ আসার খবর হতেই বিজেপির মধ্যেও চূড়ান্ত ব্যস্ততা শুরু হয়েছে।
গোটা রাজ্যকে মোট পাঁচটি সাংগঠনিক জোনে ভাগ করেছে বিজেপি।তার মধ্যে নবদ্বীপ জোন থেকে প্রথম রথযাত্রা বের করতে চায় তারা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, নবদ্বীপ থেকে ওই রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেদিন আলাদা সভা করারও কথা রয়েছে নাড্ডার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বৈষ্ণব আবেগ উসকে দিতে ওই রথযাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে ‘চৈতন্যচেতনা রথ’। এরপর নদিয়া থেকে মুর্শিদাবাদ, বনগাঁ, বসিরহাট, বারাসাত হয়ে ওই রথ পৌঁছবে বারাকপুরে। সেখানেই শেষ হবে রথযাত্রা।
উত্তরবঙ্গের রথযাত্রা কোচবিহার থেকে শুরু হয়ে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ঘুরে মালদহে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অপরদিকে, গঙ্গাসাগর থেকে শুরু হওয়া রথযাত্রা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সবকটি বিধানসভা কেন্দ্র ঘুরে কলকাতায় এসে শেষ হবে।
এখানেই শেষ নয়, বিজেপির কর্মসূচি অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারি রাঢবঙ্গ জোন হিসেবে ঝাড়গ্রাম থেকে একটি রথযাত্রা শুরু হয়ে শেষ হবে হাওড়ার বেলুড়ে। অপর একটি রথযাত্রা ওইদিনই বীরভূমের তারাপীঠ থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে পুরুলিয়ায়।