দরিদ্রদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন রাজমাতা সিন্ধিয়া : প্রধানমন্ত্রী

দরিদ্র মানুষদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন রাজমাতা সিন্ধিয়া। তিনি প্রমাণ করেছিলেন, ‘রাজ সত্তা’ নয় জন প্রতিনিধিদের জন্য ‘জনসেবা‘-ই অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার রাজমাতা সিন্ধিয়ার জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজমাতা বিজয়ারাজে সিন্ধিয়ার সম্মানে ১০০ টাকার স্মারক কয়েন প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


রাজমাতার জন্ম ১৯১৯ সালের ১২ অক্টোবর, মধ্যপ্রদেশের সগর জেলায়। তাঁর বাবা ঠাকুর মহেন্দ্র সিং ছিলেন সরকারি আধিকারিক। মহেন্দ্র সিং এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী চূড়া দেবেশ্বরী দেবীর বড় মেয়ে ছিলেন তিনি। জন্মের পরে নাম রাখা হয়েছিল লেখা দিব্যেশ্বরী দেবী। সগরে দাদু-দিদিমার কাছেই বড় হন দিব্যেশ্বরী। তিনি কোনও দিন তাঁর বাবার সঙ্গে থাকেননি। দিদিমা রানি ধনকুমারী ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। তাঁর ব্যক্তিত্বের গভীর প্রভাব পড়েছিল নাতনি দিব্যেশ্বরীর জীবনে।
রাজমাতা সিন্ধিয়ার জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “দরিদ্র মানুষদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন রাজমাতা সিন্ধিয়া। তিনি প্রমাণ করেছিলেন, ‘রাজ সত্তা’ নয় জন প্রতিনিধিদের জন্য ‘জনসেবা’-ই অতীব গুরুত্বপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে, মহিলা ক্ষমতায়নে রাজমাতা সিন্ধিয়ার দূরদৃষ্টিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে দেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.