রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মাঝে বরফ গলানোর শেষ চেষ্টায় উদ্যোগী হলেন এআইসিসি (AICC) মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গাঁধী বঢ়রা (Priyanka Gandhi Vadra)। গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট (Ashok Gehelot) ও উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের মধ্যে সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে আসছিল। কিন্তু রবিবার রাতে নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে পৃথকভাবে শচীন পাইলটের ঘাঁটি গড়ার পরেই নড়েচড়ে বসে এআইসিসি। এআইসিসির ম্যানেজাররা এখনো পর্যন্ত মন গলাতে পারেনি শচীন পাইলটের (Sachin Pilot)। তাই শেষমেষ ময়দানে নেমেছেন প্রিয়াঙ্কা। তবে বিজেপিও শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ যাত্রায় শচীন পাইলটকে ভাঙিয়ে এনে জোর ধাক্কা দিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। তবে এদিন সকালে ঘনিষ্ঠমহলে শচীন পাইলট জানিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না। তাই প্রিয়াঙ্কা ও অনেক আশা নিয়ে শচীনের মত তুর্কি নেতাকে ধরে রাখতে আসরে নেমেছেন।
শীর্ষ নেতৃত্বের আশা, শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা শচীন পাইলট এর মন গলাতে সক্ষম হবেন। কারণ কংগ্রেসের শচীন পাইলট সক্রিয় হবার পর থেকেই রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠ ছিল বলেই জেনে এসেছে দিল্লির রাজনৈতিক মহল। তাই এআইসিসির ম্যানেজারদের ধারণা এযাত্রায় ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যস্থতায় ঘরে ফিরবেন রাজেশ পাইলট পুত্র। সোমবার সকালে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধীর দূত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘সোনিয়াজি এবং রাহুলজি আলোচনায় রাজি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খোলা রয়েছে।’’ শচীনের উদ্দেশ্যে সুরজেওয়ালার বার্তা, ‘‘যদি সমস্যা থাকে, আলোচনা করুন। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে আরও শক্তিশালী করুন। সচিন ও অন্যান্যদের জন্য কংগ্রেসের দরজা খোলা। মতপার্থক্য হতে পারে, কিন্তু সে জন্য দলকে দুর্বল করা উচিত নয়।’’