সারাদেশ জুড়ে করোনার মামলা ক্রমে ক্রমে বেড়েই চলেছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তাতে এখন অবধি খুব একটা সন্তোষজনক ফল পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার এই ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুটি বৈঠক করতে চলেছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ১২ টা অবধি চলবে এই বৈঠক। এই রাজ্যের মধ্যে রয়েছে কেরাল, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়। দ্বিতীয় বৈঠকে মোদী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে আলোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য নাইট কার্ফু জারি করা সহ একাধিক কড়াকড়ি বলবৎ করেছে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, যে সব শহরে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে, সেখানে জারি করা হতে পারে লকডাউন। লকডাউনের নিয়ম জারি করার পাশাপাশি, নাইট কার্ফু, বিয়ে-শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে ১০০ জন নিমন্ত্রিত থাকা, প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি ইত্যাদি নিয়মও জারি হবে বলে খবর। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য এই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজস্থানের ৮ জেলায় নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজস্থানের জয়পুর, যোধপুর, কোটা, বিকানির, উদয়পুর, আজমেড়, আলওয়ার, ভিলওয়ারা জেলায় নাইট কার্ফু জারি করেছে অশোক গেহলটের সরকার। এই জেলাগুলিতে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লকডাউন নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এই শহরে জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে পাঁচটি শহরে জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দোর, ভোপাল, রতলাম, গোয়ালিয়র ও বিদিশা।